E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ুনের জন্মদিন পালন

২০১৫ নভেম্বর ১৩ ১৮:৪৭:৫৮
নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ুনের জন্মদিন পালন

গাজীপুর থেকে শামীম আহমেদ শামীম : ম্যুরাল স্থাপন, মোমবাতি প্রজ্জ্বলন, দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে গাজীপুরের পিরুজালী গ্রাামের নুহাশ পল্লীতে শুক্রবার পালিত হয়েছে জনপ্রিয় লেখক, কথা সাহিত্যিক ও নাট্যকার হুমায়ুন আহমেদের ৬৭তম জন্মদিন। পরিবার সদস্য, নুহাশ পল্লীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভক্তরা এসব কর্মসূচীর আয়োজন করেন। 

বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ১মিনিটে নুহাশ পল্লীর সকল স্থাপনায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন আনুষ্ঠানিকভাবে হুমায়ুন আহমেদের ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন। পরে তিনি হুমায়ুন আহমদের কবরে পুস্পস্তবক অর্পন এবং জন্ম দিনের কেক কাটেন।

ভক্ত ও নুহাশ পল্লীর কর্মচারীদের নিয়ে কবর জিয়ারত এবং দোয়াও করেন। এ সময় হুমায়ুন আহমেদের দুই শিশপুত্র নিষাদ ও নিনিত এবং পারিবারিক শুভাকাংখী জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী এস আই টুটুল উপস্থিত ছিলেন।


প্রিয় লেখকের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার নুহাশ পল্লীতে আসা ভক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী তাসমিয়া জাহান অনুভতি ব্যাক্ত করে বলেন, ‘সকালে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে মুল ফটক দিয়ে নুহাশ পল্লীতে ঢুকেই চমকে উঠি। মুষ্টিবন্ধ দু’হাত হাটুতে রেখে, হোয়াইট হাউজের সামনের লোহার চেয়ারে বসে আছেন স্যার। উদাস, কি যেন ভাবছেন। দৌড়ে কাছে গেলে, ভুল ভাঙ্গে’। পরে জানতে পারি, স্যারের ম্যুরালটি সকালেই উন্মোন করা হয়েছে। ম্যুরাল হলেও খুবই ভাল লাগছে। শুনেছি স্যার এখানে আসলে হোয়াইট হাউজের সামনের ঠিক এ জায়গাতেই লোহার চেয়ারে বসে প্রকৃতি দেখতেন, আড্ডা দিতেন।

ম্যুরালের চিত্রশিল্পী হাফিজ উদ্দিন বাবু জানান, লাখো ভক্তের মতো তিনিও হুমায়ূন আহমেদের একজন ভক্ত। বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র তিনি। তাঁর প্রতি ভালবাসা থেকে স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওনের সাথে আলোচনা করে ম্যুরাল নির্মাণের উদ্যোগটি গ্রহণ করা হয়। অক্টোবরের মাঝামাঝি নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১০ ফুট লম্বা ও ৭ ফুট চওড়া ম্যুরালটি সম্পন্ন করতে সময় গছে ২০ দিন। লেখকদের মধ্যে বাংলাদেশে এটিই সর্ববৃহৎ এবং প্রথম ম্যুরাল।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে মেহের আফরোজ শাওন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি প্রতিদিন যেভাবে ভাবি আজকেও সেভাবেই ভাবছি। বিখ্যাত মানুষগুলোর ক্ষেত্রে যা হয়, জন্মদিন, মৃত্যুদিন, বিশেষ দিনগুলোর খবর আমরা পাই। আমরা তাঁর খোঁজ করি। পরিবার পরিজনদের সাথে কথা বলি। আমিও প্রতিটি মুহূর্তে প্রতিটি নিঃশ্বাসে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করি। বাংলাদেশের এমনকি পৃথিবীর আনাচে কানাচে যেখানে বাংলা ভাষাভাষির মানুষ আছেন, তারও ছোট্ট করে হলেও হুময়ুান আহমেদের জন্মদিনটা উযযাপন করে। এ উদযাপটা দেখতে আমার ভাল লাগে। এ উদযাপনের খবর যখন পাই, ছবি দেখি। আমার খুব ভাল লাগে’।

শাওন আরো বলেন, আমি মানতেই পারি না, যখন কোন অনুষ্ঠানে বলা হয় ‘প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদ’। সাহিত্যিক, চিত্র শিল্পী, কবি এ ধরণের মহান মানুষ কখনো প্রয়াত হন না। আমি চাই রাষ্ট্রীয়ভাবে হুমায়ুন আহমেদের জন্মদিন পালন হউক’।

(এসএএস/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test