E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করতে সামাজিক উদ্যোগ চাই’

২০১৫ নভেম্বর ২৩ ১৮:৫৪:৪৬
‘যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করতে সামাজিক উদ্যোগ চাই’

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী নিজের দলের মধ্যেও মিশে আছে। তিনি বলেন, চিহ্নিত করতে সামাজিক উদ্যোগ চাই।

সোমবার হরতাল বিরোধী এক সমাবেশে মহিউদ্দিন বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা সমাজের মধ্যে লুকিয়ে আছে। এমনকি আমাদের দলের মধ্যেও মিশে আছে। তাদের চিহ্নিত করতে সামাজিক উদ্যোগ চাই।

শনিবার রাতে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এর দুইদিনের মধ্যে এ বক্তব্য এসেছে মহিউদ্দিনের কাছ থেকে।

রাউজানের গহিরায় একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। উভয়ে পিতৃকূলে পরস্পরের আত্মীয় বলেও পরিচিতি আছে।

সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর মহিউদ্দিন আনন্দিত বলে প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিনের আত্মীয়তা নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে সরব আলোচনা আছে। মহিউদ্দিনবিরোধীরা তাকে মোকাবেলায় বিষয়টি প্রচারণার অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

এর মধ্যে হরতালবিরোধী সমাবেশে মহিউদ্দিন নিজ দলেও যুদ্ধাপরাধীদের অবস্থানের প্রসঙ্গ তুলে আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে আমাদের সামাজিক সর্ম্পক ত্যাগ করতে হবে। তা না হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় কাঁটা সৃষ্টি হবে। এই কাঁটা অপসারণ করতে হবে।

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বক্তব্যের কথা উল্লেখ আছে।

জামায়াতের ডাকা হরতালবিরোধী এ সমাবেশ সঞ্চালনা করে নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান।

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাসদ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রশিদ, সাম্যবাদী দলের অমুল্য বড়ূয়া, নগর আওয়অমী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ।

(ওএস/এএস/নভেম্বর ২৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test