E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

২০১৫ ডিসেম্বর ১০ ১৩:২৫:০০
শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনাদের ওপর আজ থেকে ন্যস্ত হচ্ছে দেশরক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বিএমএ-তে রাষ্ট্রপতি প্যারেড ডিসেম্বর-২০১৫ (পাসিং আউট) অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিএমএ ৭৩তম দীর্ঘ মেয়াদী এবং ৪৪তম স্বল্প মেয়াদী কোর্সের ক্যাডেটদের সমাপনী কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং সেরা ক্যাডেটদের পুরস্কৃত করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় হেলিকপ্টারযোগে তিনি চট্টগ্রামের ভাটিয়ারি মিলিটারি একাডেমিতে অবতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আপোসহীন ও রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী জন্ম লাভ করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের সবার গর্ব ও অহংকারের প্রতিষ্ঠান।’

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠনের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারিতে সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচ তার ট্রেনিং শেষ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার কল্যাণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজকের অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের নানা কর্মকাণ্ডেও অংশগ্রহণ করছে। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সারা বিশ্বে আরো মর্যাদাকর আসনে প্রতিষ্ঠিত করা। এজন্য সেনাসদস্য ও কর্মকর্তাদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সারা বিশ্বে শান্তি-সম্প্রীতির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী স্মরণ করিয়ে দেন, সেনাবাহিনী দেশে বেসামরিক প্রশাসনকেও নানাভাবে সাহায্য করছে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী জোহরের নামাজ ও দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন। এরপর দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি।

(ওএস/এইচআর/ডিসেম্বর ১০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test