E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সারাবিশ্বে কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের যথাযথ স্বীকৃতি নেই’

২০১৬ জানুয়ারি ০৪ ১৭:৫০:৩৩
‘সারাবিশ্বে কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের যথাযথ স্বীকৃতি নেই’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে কৃষি ক্ষেত্রে নারীদের অবদান সবচেয়ে বেশি হলেও তাদের যথাযথ স্বীকৃতি নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি এ বিষয়ে আরো কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।

সোমবার সংসদের কার্যালয়ে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাহায্য পুষ্ট ‘খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি’ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি । প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাজ্যের আলস্টার ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এস. আর. ওসমানি।

স্পিকার বলেন, খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ বিপ্লব সাধন করেছে। ধান-গমের পাশাপাশি সকল প্রকার সবজি ও আলু উৎপাদনেও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। তাই বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেচ কাজে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ, স্বল্পমূল্যে কৃষকদের জন্য সার, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করায় এ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এর ফলে বিগত ৭ বছর যাবৎ চালসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল রয়েছে।

শিরীন শারমিন বলেন, বর্তমান সরকার সকল স্তরের মানুষের জন্য খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। ভিজিএফ/ভিজিডির মাধ্যমে হতদরিদ্র মানুষের খাদ্য দ্রব্যের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। সমাজের হতদরিদ্র জনগণকে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভূক্ত করে বর্তমান সরকার সমাজের অসহায় মানুষের সহায়তা প্রদান করছে।

এসময় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিগণ বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতির পথে অগ্রসর হচ্ছে। তারা খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি সঠিক মাত্রার পুষ্টি চাহিদা মেটানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। খাদ্য ও পুষ্টির ক্ষেত্রে তারা জেন্ডার সমতা বিধানের উপরও গুরুত্ব প্রদান করেন।

বর্তমান সরকার গর্ভজাত মায়ের পুষ্টি নিশ্চিত, বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীর খাদ্য কর্মসূচি চালু, কর্মজীবী মায়েদের পুষ্টিচাহিদা পূরণ, ডে-কেয়ার সেন্টার ইত্যাদি কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি বলেন, সরকার প্রণীত সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, ভিশন -২০২১ সহ সকল স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এসময় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. ক্রিস্টা র্যাডার উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test