E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার এখনই উপযুক্ত সময়

২০১৬ মার্চ ০৯ ১৫:৩০:১৫
সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার এখনই উপযুক্ত সময়

বাগেরহাট প্রতিনিধি : মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ষ্টিফেন ব্লুম বার্নিকাট বলেছেন, বাংলাদেশের সুন্দরবনের বাঘ বাঁচানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ দেশের সরকারের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সুন্দরবনই হচ্ছে বেঙ্গল টাইগারের একমাত্র বাসস্থান। এখানকার বাঘ বাঁচানোর জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি গতকাল মঙ্গলবার সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার জন্য জাতীয় সংলাপে উদ্বোধনী দিনে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় কালে একথা বলেন।

ইউএসএআইডি’র বাঘ প্রকল্পের সুন্দরবনে পর্যটন জাহাজ ‘টাঙ্গুয়ার হাওর’ এ দু’দিনব্যাপী আয়োজিত এসংলাপ আজ বুধবার পর্যন্ত চলবে। এ সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এমপি। আন্যান্যের মধ্যে আংশ নেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. ইয়াহিয়া চৌধুরী এমপি, প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুস আলী, ইউএসএআইডি’র বাঘ প্রকল্পের টিম প্রধান গ্যারী কলিন্স প্রমুখ।

রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট আরো বলেন, সুন্দরবনের বাঘের নিরাপত্তায় আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের সুন্দরবনে একশ’র উপরে বাঘ রয়েছে। এবিষয়টি সমন্বিত পরিকল্পনার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এদেশের জাতীয় সৌর্য্যরে প্রতীক বাঘকে বাঁচাতে স্থানীয় জনসাধারনকে যুক্ত করতে হবে। একাজে এখানকার সংশ্লিষ্টদের দক্ষতা বা সহযোগিতার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। এক্ষেত্রে আমাদের সফলতা হচ্ছে বাঘ রক্ষায় সম্পৃক্তদের এক জায়গায় আনতে সক্ষম হয়েছি। এসময়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে স্বচ্ছ নির্বাচনের পরিবেশ ও গনতন্ত্র চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এদেশে নির্বাচনকালীন সহিংসতা কমে আসায় আমরা সন্তুষ্ট। যা ইতিবাচকও।

সুন্দরবনের বাঘ রক্ষার জন্য জাতীয় সংলাপের প্রধান আতিথি পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, সরকার সুন্দরবনের বাঘ রক্ষায় কাজে পূর্ব থেকেই চলমান তিন ধাপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় সুন্দরবনের বাঘ রক্ষা পাবে। কোষ্টগার্ড, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ইত্যাদি আইন -শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন শাখাকে সমন্বয় করে সুন্দরবন সুরক্ষায় আমরা ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি। সুন্দরবনকে রক্ষার ক্ষেত্রে সফল হতেই হবে। সুন্দরবনে এখন আর আগের মতো সম্পদ ধ্বংস হয় না। গাছ কাটা বন্ধ হয়েছে, গোলপাতা আহরন ও মাছ ধরা সীমিত করা হয়েছে। মাছ আহরণ বন্ধেরও চিন্তা ভাবনা চলছে। এক সময় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জ্বালানী কাঠের উৎস্য ছিল সুন্দরবন, এখন আর তা নেই। মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন হয়েছে।

ইউএসএআইডি’র বাঘ রক্ষা প্রকল্পের এই জাতীয় সংলাপে অংশ নেন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,বন অধিদপ্তর,পরিবেশ অধিদপ্তর, নৌবাহিনী, কোষ্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ ও বিচার বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। দু’দিনব্যাপী সুন্দরবনে অনুষ্ঠিত বাঘ রক্ষা প্রকল্পের এই জাতীয় সংলাপে বাঘের আবাসস্থল, খাদ্যাভ্যাস, প্রজনন সক্ষমতা বৃদ্ধি. বাঘসহ সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীর পাচার রোধ, বাঘ রক্ষায় টহল জোরদার, টহল টিমের প্রশিক্ষণ, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার,জিপিএস ডাটাবেজ তৈরী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হচ্ছে।

কর্মসূচীতে বন বিভাগের স্মাষ্ট পেট্রোলিং, টাইগার টিম ইত্যাদি সহযোগী কর্মকান্ড বিষয়ও আলোচনা হচ্ছে।

(একে/এএস/মার্চ ০৯, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test