E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ডে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ তদন্ত করবে’

২০১৬ মে ১৬ ১০:৪১:৪৬
‘সীমান্ত হত্যাকাণ্ডে বিজিবি ও বিএসএফ যৌথ তদন্ত করবে’

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গুলি ও হত্যাকাণ্ডসহ যেকোনো অপরাধমূলক ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফ যৌথভাবে তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় রাজধানীর পিলখানার বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

বিজিবি প্রধান বলেন, এখন থেকে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডসহ যেকোনো ধরণের ঘটনায় তদন্ত প্রয়োজন হলে যৌথভাবে হবে। আগে দুই পক্ষ দুই ধরনের বক্তব্য দিত। কিন্তু এখন থেকে আর সে রকম কিছু হবে না। যৌথভাবে তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, যে কোনো ঘটনায় বাংলাদেশ ও ভারতের সাংবাদিকরাও থাকবেন। তারা তাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করবেন, নিউজ করবেন। সঠিক বিষয়টি তুলে ধরবেন।

চুয়াডাঙ্গায় সজল নামে এক বাংলাদেশি কিশোর বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি প্রধান বলেন, আমরা সব সময়ই সীমান্ত হত্যাকে জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার নীতিতে বিশ্বাস করি। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আশা করছি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ওই ঘটনায় একজন অফিসারসহ মোট সাত জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনায় যৌথ তদন্ত হবে।

সীমান্তে কেউ ধরা পড়লে গুলি না করে আটক করাই নিয়ম কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে বিএসএফ গুলি করে, এক্ষেত্রে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিএসএফ মহাপরিচালক কেএক শর্মা বলেন, আমরা ক্যাটল স্মাগলার, ড্রাগ স্মাগলারসহ অনেককেই ধরি। গত পাঁচ মাসে সীমান্তে ৪৭ জনকে আটক করা হয়েছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিলেই কেবল গুলির বিষয়টি আসে। এ ছাড়া বিএসএফ গুলি করে না। তবে বিষয়টি কিভাবে আরো শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা যায় তার বিকল্প চিন্তা চলছে।

ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএফ প্রধান বলেন, বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন। সে কারণে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

এর আগে গত ১১ মে ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়। যা আজ (সোমবার) বিজিবি প্রধান ও বিএসএফ প্রধান যৌথ আলোচনার দলিল (Join Record Discussions-JRD) স্বাক্ষর ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটে।

জানা যায়, সম্মেলনে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা, সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, অ্যালকোহল, গাঁজা, হেরোইনসহ অন্যান্য মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান বন্ধ, বাংলাদেশি নাগরিকদের আটক, অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম, অস্ত্র ও বিস্ফোরক পাচার, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ এবং উভয় দেশের সীমান্তে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজে সহায়তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়। উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।

সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে ভারতীয় প্রতিনিধি দলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ফ্রন্টিয়ার আইজিগণ, ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।

অন্যদিকে, বিজিবি মহাপরিচালকসহ বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকবৃন্দ, সেক্টর কমান্ডার ও উপ-মহাপরিচালকবৃন্দ, বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসারবৃন্দ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর এবং সার্ভে অব বাংলাদেশ এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ ২৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেন।

(ওএস/এএস/মে ১৬, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test