E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ’

২০১৬ ডিসেম্বর ০৮ ১৬:১৯:২১
‘জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ’

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, জঙ্গিরা কোন বিশেষ ধর্মের লোককে মারেনা। তারা মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবাইকে হত্যা করছে। জঙ্গিবাদ বাংলাদেশের নতুন চ্যালেঞ্জ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট খানজাহান আলী ডিগ্রী কলেজ মাঠে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ও জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি শহীদুল হক বলেন, আমরা জঙ্গিদের জঙ্গি হিসাবেই দেখি। এদের সংখ্যা খুব বেশি না। জঙ্গিদের শক্তি আমারা ভেঙে দিয়েছি। তারা অত্যান্ত দূর্বল অবস্থায় আছে। জনগনের সম্পৃক্ততায় অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এদের নির্মূল করতে স্বক্ষম হব।

মাদকের সাথে অপরাধের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করে সমাবেশে তিনি বলেন, শিশুকাল থেকে তাদের মাঝে মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে। যাতে তারা কখনোই বিপথগামী না হয়। কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে কঠর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ব্রিটিশ ও পাকিস্থানি আমালে পুলিশ ও জনগনের মাঝে যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর মাধ্যেমে আমরা সেই দুরত্ব কমিয়ে আস্তা ও বিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি করতে স্বক্ষম হয়েছি।

আমাদের পুলিশ জনগনের পুলিশ উল্লেখ করে পুলিশ প্রধান বলেন, কমিউনিটি পুলিশ কমিউনিটি নিয়ে কাজ করবে। শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, মৎসজীবী প্রতিটি কমিউনিটি নিয়ে কাজ করতে হবে। এতে সমাজে অপরাধ ও অপরাধ প্রবনতা কমে আসবে।’
‘থানার দালাল তাড়াতে হলে পুলিশের সাথে আপনাদের দূরত্ব কমাতে হবে। দালাল তাড়ানোর দায়িত্ব নিতে হবে আপনাদের’ বলে সমাবেশে মন্তব্য করেন আইজিপি।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- খুলনার বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনির-উজ-জামান, খুলনা মেট্রপলিটন পুলিশ কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, বাগেরহাটে পুলিশিং কমিটির সভাপতি এ্যাড. মোজাফ্ফর হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খুলনার বিভাগী কমিশনার মো. আবদুস সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন - ২০২১ এবং ভিশন - ২০৪১ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিতে পুলিশং কার্যক্রম এবং কমিউনিটি পুলিশং কার্যক্রকে এগিয়ে নিতে হবে। উন্নয়ের পূর্ব শর্ত শন্তিশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। এ জন্য এই কার্যক্রমকে এগিনে নিতে হবে।

আমাদের সমাজে কেউ যেন ক্ষুদা ও দারিদ্রতার কারনের অপরাধে জড়িয়ে পড়তে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আমার সবাই দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি।

সমাবেশে বাগেরহাটের ৯টি উপজেলার কমিউনিটি পুলিশিং ইউনিটগুলো ছাড়াও পার্শবর্তি জেলার কমিউনিটি পুলিশ, জনাপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

(একে/এএস/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test