‘নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিতর্ক এড়াতে আইন জরুরি’

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে বিতর্ক এড়াতে আইন প্রণয়ন জরুরি বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, আইন প্রণয়ন না করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা হলে বিষয়টি আবারো আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে ও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

তবে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ খুবই ইতিবাচক। এই প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রপতি একটি ভালো নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লা্উঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত ‘নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে প্রস্তাবিত আইনের খসড়া : প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিলে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তরা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সংলাপ করছেন, এটা ভালো হচ্ছে। এখন গণতন্ত্রের স্বার্থে হাসিনা-খালেদা যদি একবার বৈঠকে বসেন তাহলে সমস্যার সমাধান সহজ হবে।’

প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. ইনাম আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি আগেও এ রকম একটি সমঝোতা চেয়েছিল। দুই নেত্রী যেন এক সঙ্গে দেখা করেন। এখন এটি খুবই জরুরি। কারণ আগামী নির্বাচনকালীন সরকার দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হেসেন বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পাঁচজনের পরিবর্তে তিনজনকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করলে ভালো। কারণ কারণ পাঁচজনের পরিবর্তে তিনজন নিয়ে গঠিত হলে ঐক্যমতের ভিত্তিতে কাজ করা সহজ হবে।’

প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এটি ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করি। যদি রাষ্ট্রপতি এই প্রক্রিয়ার ফলশ্রুতিতে একটা ভালো কমিশন গঠন করেন তাহলে সমাধানটা খুব সুন্দর হবে।’

সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি তার সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করার আগে যদি বিশেষজ্ঞ, নাগরিক, সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে সংলাপ করেন, সেটি ভাল হবে।’

একই সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি যুগোপযোগী আইন করার জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানান সুজন সম্পাদক।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১২, ২০১৭)