E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ছাত্রলীগ ও মেয়র গ্রুপে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৩

২০১৭ ফেব্রুয়ারি ০২ ১৯:৪২:০৫
ছাত্রলীগ ও মেয়র গ্রুপে সংঘর্ষ, সাংবাদিকসহ গুলিবিদ্ধ ৩

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের এক নেতাকে মারপিটের ঘটনায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শাহজাদপুর পৌর এলাকার মনিরামপুর মহল্লায় মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাসার সামনে বৃহস্পতিবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) আবুল হাসনাত বলেন, দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করেন। পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ তার ভাই পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে বিজয়কে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মেয়রের বাসায় হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মেয়রের বাসা থেকে গুলিবর্ষণ করা হলে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আব্দুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শাহজাদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহবুব ওয়াহিদ কাজল বলেন, দুপুরে কলেজ ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি বিজয়কে মেয়রের বাসায় তুলে নিয়ে গিয়ে তার হাত ও পা ভেঙে দেন মেয়রের ভাই পিন্টু। এ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিলে গুলিবর্ষণ করেন মেয়র হালিমুল হক মিরু। গুলিবর্ষণের ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিক শিমুলের মুখের উপর ককটেল নিক্ষেপ করা হয়।

শাহজাদপুর পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু বলেন, ‘আমার ভাই পিন্টুর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা বিজয়ের ধস্তাধস্তি হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পিন্টুকে থানায় নিয়ে যায়। তারপরও ছাত্রলীগ নামধারীরা আমার বাসায় হামলা চালায়। বাধ্য হয়ে আমার লাইসেন্সকৃত শর্টগান দিয়ে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করি।’

তিনি বলেন, ‘এতে হামলাকারীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাসার ভেতরে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে আমার বাসায় অপেক্ষমাণ নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে তারা ককটেল বিস্ফোরণ করে চলে যায়।’

(ওএস/অ/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test