E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘রামপালের নেতিবাচক প্রভাব ঢাকা ও কলকাতায়ও পড়বে’

২০১৭ মে ০৫ ১৪:৪০:৩৩
‘রামপালের নেতিবাচক প্রভাব ঢাকা ও কলকাতায়ও পড়বে’

স্টাফ রিপোর্টার : শুধু সুন্দরবন বা তার আশপাশ নয়, রামপালে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নেতিবাচক প্রভাব ঢাকা ও কলকাতায়ও পড়বে।

এ ছাড়া বছরে অকাল মৃত্যু হতে পারে ৬ হাজার মানুষের এবং ২৪ হাজার শিশু কম ওজন নিয়ে জন্মাতে পারে।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক সুলতানা কামাল।

তিনি বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে ঢাকা ও কলকাতার বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বায়ুদূষণে মারাত্মক আক্রান্ত হবে।’

কর্মঘণ্টায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গমন স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যানসার, বয়স্কদের হৃদযন্ত্রের ও শ্বাসতন্ত্রের রোগের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপসর্গের ঝুঁকি অনেক গুণ বাড়য়ে দেবে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।

সম্মেলনের আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। ‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বায়ুর গুণমান, বিষাক্ততা ও মানব দেহের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশ সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাপা সভাপতি আব্দুল মতিন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুন নাহার প্রমুখ।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘রামপালে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সারা দেশের বায়ু দূষণকারী উৎসের মধ্যে বৃহত্তর একক উৎস হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদগীরণ সুন্দরবন ইকো সিস্টেমসহ সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের এবং খুলনা, অশোক নগর, কল্যাণগড়, সাতক্ষীরা, বেগমগঞ্জ, বশিরহাট, নরসিংদী, নোয়াখালী, বাসীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপরের বাতাসে বিষাক্ত ধূলিকণার মাত্রা বাড়িয়ে দেবে।’

গবেষণায় আরো জানানো হয়, প্লান্টের জীবদ্দশায় ১০ হাজার কেজি পারদ, কয়লার ছাই পুকুরে জমা হবে, যা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। এই অতিরিক্ত পারদ সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের জলজ খাদ্যচক্রকে ঝুঁকিতে ফেলবে।

সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, ‘বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় যত তথ্য দিচ্ছে তা অসত্য। তারা তথ্য দিতে চাইছে না। মন্ত্রণালয় অসত্য প্রচার করছে।’

(ওএস/এএস/মে ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test