E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রামপালে নিন্মমানের কয়লা যোগান দিতে চায় ভারত

২০১৭ মে ১১ ১২:৫৮:০৮
রামপালে নিন্মমানের কয়লা যোগান দিতে চায় ভারত

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের উৎপাদিত কয়লা অত্যন্ত নিন্মমানের হওয়ায় ভারতের বিভিন্ন কয়লাভিত্তিক অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র চলছে আমদানি করা কয়লায়। ফলে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ কয়লা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। এবার এসব অব্যাবহৃত কয়লা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎপ্রকল্পে যোগান দিতে চায় ভারত।

বাংলাদেশে কয়লা রফতানির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গত বছর একটি প্রতিনিধি দল পাঠায় কোল ইন্ডিয়া। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড জানিয়েছে, কোল ইন্ডিয়ার অধীনে সবচেয়ে বড় কয়লা খনি মহানদী কোলফিল্ডস লিমিটেড (এমসিএল) থেকে উত্তোলিত কয়লা ওড়িশার পারাদ্বীপ বন্দর থেকে বাংলাদেশে পাঠানো যাবে। পরবর্তীতে তা নৌ বা রেলপথে সরাসরি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

ভারতের প্রতিনিধিদলের সফরের কথা স্বীকার করলেও রামপালের জন্য ভারত থেকে কয়লা আমদানির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী খালেদ মাহমুদ।

তিনি বলেন, আমরা কয়লা আমদানির উৎস নির্দিষ্ট করে ফেলেছি। যত দূর সম্ভব অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কয়লা আনা হবে।

তবে ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার করপোরেশনের (এনটিপিসি) মাধ্যমে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লার জোগান দিতে পারে ভারত। কারণ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫০ শতাংশের অংশীদার সে দেশের এনটিপিসি। বাকি ৫০ শতাংশের মালিক পিডিবি।

যৌথ মালিকানার বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডে (বিআইএফপিসিএল) অর্থায়ন করছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। নির্মাণ ঠিকাদার হিসেবেও থাকছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচইএল)। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানির উৎস হিসেবেও তাই ভারতই অগ্রাধিকার পাবে বলে আশাবাদী কোল ইন্ডিয়ার এক কর্মকর্তা।

বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে তিনি বলেন, আশা করছি, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা জোগান দেয়ার প্রাথমিক কাজ এ বছরই শেষ হবে।

সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বিআইএফপিসিএলের। বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সুন্দরবন থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালের গৌরম্ভার কৈকরদশকাঠি ও সাতমারী মৌজায় ১ হাজার ৮৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি হিসেবে কয়লা প্রয়োজন হবে প্রতিদিন প্রায় ১৩ হাজার টন। এ প্রকল্পে জোগানের মধ্য দিয়ে কয়লা রফতানি শুরু করতে চায় ভারত।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে অত্যাধুনিক আল্ট্রাসুপার থার্মাল প্রযুক্তি ব্যবহূত হবে। তাই কালো ধোঁয়া বা ছাই উদিগরণের আশঙ্কা নেই। সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজি ব্যবহার করেও ইআইএ প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ৪৫ টন নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ও ১৪২ টন সালফার ডাই-অক্সাইড নির্গমন হবে। বছরে ৯ লাখ ৪০ হাজার টন ছাই নির্গমন হবে, যার ৮০ শতাশই শুকনো ফ্লাই অ্যাশ আর ২০ শতাংশ বটম অ্যাশ।

(ওএস/এসপি/মে ১১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test