E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রণদা স্বর্ণপদক পেলেন তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি

২০১৭ মে ১৪ ১০:০৭:৫০
রণদা স্বর্ণপদক পেলেন তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি

স্টাফ রিপোর্টার : কুমুদিনী হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা হত্যার বিচার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা।

শনিবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা স্মারক বক্তৃতা, স্মারক সম্মাননা ও স্বর্ণপদক-২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্টজনরা এ দাবি জানান।

তারা বলেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চললেও এখন পর্যন্ত অসহায় মানুষদের বন্ধু দানবীর আরপি সাহা হত্যার বিচার এখনো শুরু হয়নি। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাক হানাদারদের যারা সহায়তা করেছে, রণদা হত্যায় যারা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল, তাদের অনেকেই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থা মেনে নেওয়া যায় না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনজুরুল ইসলামের লেখা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য গত তিন বছর ধরে তিন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রণদা স্মৃতি স্বর্ণপদক দিচ্ছে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট অব বেঙ্গল (বিডি) লিমিটেড।

এ বছর এ পুরস্কার পেয়েছেন বংলা ভাষা আন্দোলনের পথিকৃৎ শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত (মরণোত্তর), ব্র্যাকের চেয়ারপারসন স্যার ফজলে হাসান আবেদ এবং বিশিষ্ট লেখক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন তার নাতনি ও সমাজসেবী অ্যারোমা দত্ত।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভাষা সৈনিক ও কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক প্রতিভা মুৎসুদ্দি।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ মে কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও তার একমাত্র ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে মির্জাপুরের পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর মওলানা ওয়াদুদ এবং তার ছেলে মাহবুব ও মান্নানের প্রত্যক্ষ মদদে নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর তাদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। অপহরণের ৪৬তম বার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রণদা প্রসাদ সাহা আর বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জীবনে অনেক মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তারা দুজনই পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিপরীত অবস্থানে অবস্থান নিয়েছিলেন। তারা দুজনই মায়েদের পাশে থেকেছেন। বর্তমান সময়ে যেভাবে মেয়েদের ওপর পৈশাচিক হামলা হচ্ছে, সে পরিস্থিতিতে আরপি সাহা আর বিদ্রোহী কবিদের বড় প্রয়োজন রয়েছে। দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু এখনো আমরা সেই পাকিস্তানি ভাবধারা থেকে বের হতে পারিনি। রণদা প্রসাদ সাহা হত্যার বিচার হলে এই পৈশাচিক কর্মকাণ্ড দেশে হতো না।

ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাধীনতার পক্ষের সরকার। এ সরকারের মেয়াদকালেই আমরা রণদা প্রসাস সাহা হত্যার বিচার হবে, এমনটা দাবি আমরা করতেই পারি। ১৯৭১ সালে ৭ মে মির্জাপুর গ্রামে হামলা করে বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসীকে হত্যা করে। যারা সেদিন এ সব ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে তারা আজও মির্জাপুরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের এই সাহসের উৎস কোথায়? এদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীরা রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করে।

(ওএস/এএস/মে ১৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test