E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আগের চেয়ে ভালো আছেন ফরহাদ মজহার

২০১৭ জুলাই ০৫ ১৩:৪১:৫৩
আগের চেয়ে ভালো আছেন ফরহাদ মজহার

স্টাফ রিপোর্টার : কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার বুধবার রাত থেকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি আছেন। হাসপাতালে তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ফরিদা আখতার।

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, ফরহাদ মজহার গতকালের চেয়ে আজ অনেকটাই ভালো আছেন। ডাক্তার এসে কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা করেছেন। তার রিপোর্ট আমরা এখনো হাতে পাইনি। তা পেলে বিস্তারিত বলতে পারবো।

এর আগে মঙ্গলবার মজহারকে রাজধানীর ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে (বারডেম) ভর্তি করা হয়েছে। নিম্ন আদালত থেকে বাসা ফেরার পথে শরীর খারাপ লাগায় তাকে বারডেমে নেয়া হয় বলে জানান তার স্ত্রী ফরিদা আখতার।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিনি বর্তমানে বারডেম হাসপাতালের কেবিন নং ১১০৬ এ ভর্তি আছেন। অপহরণের ১৯ ঘণ্টা পর যশোর থেকে উদ্ধার ও আজ সারাদিন শারীরিক ধকলে অসুস্থ হয়ে পড়েন কবি ও সাংবাদিক ফরহাদ মজহার।

ফরিদা আখতার রাত সাড়ে ৯টায় বলেন, আদালত ও ডিবি কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে শ্যামলীর বাসায় রওনা হওয়ার পথে গাড়িতে অসুস্থবোধ করেন ফরহাদ মজহার। পারিবারিক সিদ্ধান্তে তাকে নিকটস্থ শাহবাগের বারডেম হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাকে ভর্তির পরামর্শ দেন।

তিনি জানান, তার স্বামী উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। সোমবার ভোর থেকে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-যশোর-ঢাকা, থানা, ডিবি কার্যালয় ও আদালত ঘুরে ঘুরে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গতকাল থেকে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর দিয়ে ঝড় বয়ে গেছে। এ মুহূর্তে নিজের শরীরটাও ভালো লাগছে না। আপাতত আর কোনো কথা বলতে চাইছেন না বলেও জানান তিনি।

ফরহাদ মজহারের স্ত্রীর বড়বোন সাঈদা আক্তার জানান, হার্টের সমস্যা, প্রেসারসহ নানা রোগ রয়েছে তার। তারপর পুরো একটা দিন টেনশনসহ নানাবিধ ঝামেলায় কেটেছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তাকে ‘নিজ জিম্মায়’ বাসায় ফেরার অনুমতি দেন নিম্ন আদালত। আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে তিনি জানান, সরকারকে বিব্রত করতেই আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল। শুনানিতে বিচারক মো. আহসান হাবিব ফরহাদ মজহারকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি নিজ জিম্মায় যেতে চান? ‘হ্যাঁ’ বোধক সম্মতি জানালে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় আবেদন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, জবানবন্দিতে ফরহাদ মজহার বলেন, সোমবার ভোরে আমি ওষুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হই। পথিমধ্যে কে বা কারা আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ সময় তারা আমার চোখ বেঁধে ফেলে। আমি তাদের কাউকে চিনতে পারিনি। তারা কতজন ছিল তাও সঠিক জানি না। অপহরণের পর তারা আমার কাছে কোনো চাঁদা দাবি করেনি। আমি নিজেই মুক্তি পাওয়ার জন্য তাদের টাকার অফার করি। এরপর টাকার জন্য বাসায় ফোন করি। তবে তারা আমার কাছ থেকে টাকা না নিয়েই ছেড়ে দেয়। এতে তার ধারণা সরকারকে বিব্রত করতেই তাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test