E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মেজর জিয়াউদ্দিন আর নেই

২০১৭ জুলাই ২৮ ১৩:২৭:১০
মেজর জিয়াউদ্দিন আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর (অব) জিয়াউদ্দিন আহমেদ আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মেজর জিয়াউদ্দিনের ভাই কামালের বন্ধু দুলাল ঢাকাটাইমসকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মেজর জিয়াউদ্দিনের অনেকদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১ জুলাই তাকে ভর্তি করা হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। আইসিইউতে রাখার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে কেবিনে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ট্রোক করলে ১১ জুলাই সিঙ্গাপুরে নেয়া হয় স্বাধীনতার এই সূর্য সন্তানকে।

পরে মেজর জিয়ার স্ত্রী কানিজ মাহমুদা জানিয়েছিলেন, তার লিভার সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। দেশে সম্ভব না হওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।

বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন পিরোজপুর জেলা শহরের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দীন আহম্মেদের ছেলে। ১৯৬৯ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন এবং সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন। তিনি ১৯৭১ সালে সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে পশ্চিম পাকিস্তানে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে জুলাই মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দায়িত্ব পান ৯ নম্বর সেক্টরের সুন্দরবন অঞ্চলের সাব সেক্টর কমান্ডার হিসেবে। মুক্তিবাহিনীর জেড ফোর্সের অধীনে প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বীরত্বের সঙ্গে সুন্দরবন অঞ্চলকে শত্রুমুক্ত রাখার জন্য তাকে সুন্দরবনের 'মুকুটহীন সম্রাট' বলা হয়। সুন্দরবন রক্ষার জন্য তিনি 'সুন্দরবন বাঁচাও' নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। কখনও জেলেদের নিয়ে, কখনও প্রশাসনের সহায়তায় ওই অঞ্চলে ডাকাত নির্মূলে তিনি ভূমিকা পালন করেন। ডাকাতরা কয়েকবার তাকে হত্যার চেষ্টা করে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test