E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আবারও শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ

২০১৭ জুলাই ২৮ ১৬:২৭:৩৮
আবারও শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ

স্টাফ রিপোর্টার : ফের শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিবকে আহ্বায়ক করে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শ্রম আইনকে আরও শ্রমিকবান্ধব করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরামর্শে এ সংশোধন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে।

‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ সংশোধন বিষয়ক কমিটি’ গঠন করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি আদেশ জারি করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৩ সালে ২০০৬ সালের শ্রম আইন সংশোধন করা হয়। পরবর্তীতে শ্রম আইন বিধিমালা করা হয় ২০১৫ সালে।

নয় সদস্যের এই কমিটিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি, বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের উপদেষ্টা কামরান টি রহমান, জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সদস্য আব্দুস সালাম খান ও বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের চৌধুরী আশিকুল আলম।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (শ্রম) কমিটিতে সদস্যসচিব কাম কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এই কমিটি সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের অবহিত করতে শ্রম আইন সংশোধনের প্রাথমিক খসড়া প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবে। একইসঙ্গে কমিটি দেশের ও আন্তর্জাতিক অঙ্গণের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে।

কমিটির চূড়ান্ত করা খসড়াটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গত ৫ জুন শ্রম আইন সংশোধনের সম্ভাব্যতা পর্যালোচনার জন্য ত্রিপক্ষীয় (সরকারি, মালিক ও শ্রমিক) সুপারিশ প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। এই কমিটি প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করে সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির কাছে দেবে।

শ্রম আইন সংশোধন কমিটি সংশোধনের সম্ভাব্যতা পর্যালোচনা জন্য গঠিত কমিটিকে কার্যপদ্ধতিগত বিষয়ে পরামর্শ দেবে।

আন্তর্জাতিক মানে উত্তীর্ণ না হওয়ায় বাংলাদেশের শ্রমমান ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে ১০৫তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বিশেষ অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছিল। ওই অনুচ্ছেদে শ্রম আইনে সংশোধনী আনা, ইপিজেড আইনে ট্রেড ইউনিয়র করার অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করা, ট্রেড ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্যের তদন্ত করা এবং ইউনিয়নের নিবন্ধন স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে করার কথা বলা হয়েছিল।

গত জুনে ১০৬তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে বিশেষ অনুচ্ছেদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গাই রাইডারকে অবহিত করেন। ওই বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের পদক্ষেপের আলোকে বিশেষ অনুচ্ছেদ তুলে নেয় আইএলও।

এছাড়া দেশে শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও শ্রম আইন সংশোধনের দাবি রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test