E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘নির্বাচনে ভয়াবহ সহিংসতা হবে’

২০১৭ জুলাই ৩১ ১৫:৩৪:১৮
‘নির্বাচনে ভয়াবহ সহিংসতা হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : বিদ্যমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে সংসদকে টিকিয়ে রেখে যদি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে, সেই নির্বাচনে সংহিসতার আশঙ্কা করছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী।

সোমবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘এর আগেও অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক সংহিসতা হয়েছে। আরপিও পরিবর্তন করে সশস্ত্র বাহিনীকে আনতে হবে, অন্যথায় আগামী নির্বাচনে খুব সহিংসতা হবে।’

তিনি বলেন, ‘যদি সংসদ জীবিত থাকে, তথা তিনশ জন সংসদ সদস্য সিটিং থাকেন; তাহলে তারা সরকারি সহযোগিতা নেবেন। নির্বাচনকালীন সরকারের এই ব্যবস্থাটা রিভিউ করা দরকার। সেই সঙ্গে একটা সিদ্ধান্তেও আসা দরকার।’

‘প্রশাসনে এতই দলীয়করণ করা হয়েছে যে, এই সরকার ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করা মুশকিল’-বলেন দিলারা চৌধুরী।

নির্বাচনকালীন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা ইসির কাছে দেওয়া উচিত বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচনকালীন মাঠে সেনাবাহিনী রাখতে হবে এমন প্রস্তাব ইসির সংলাপে দিয়েছেন জানিয়া দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘সংলাপে যারা সেনাবাহিনীর বিপক্ষে মত দিয়েছেন তারা বলছেন যদি নির্বাচনকালীন সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে রাখা হয়, তাহলে অন্যান্য বাহিনী সদস্যরা কাজ করতে পারবে না।’

অধ্যাপক দিলারা বলেন, ‘যদি সেনাবাহিনী না থাকে তাহলে পরিস্থিতি এমন হতে পারে, শুধু বিরোধীদলের সঙ্গে সরকার সমর্থিত নেতাকর্মীদের সংঘর্ষই নয়, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে ভয়াবহ গোলযোগ সৃষ্টি হতে পারে। যা সাধারণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।’

এরআগে বেলা ১১টার পর নির্বাচন ভবনে সিইসি কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে ইসি ঘোষিত রোডম্যাপের ওপর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। এতে ৫৯ জন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও অংশ নেন মাত্র ৩০ জন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test