E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘আমির আতঙ্কে ছিল কেরানীগঞ্জের মানুষ’

২০১৭ আগস্ট ০১ ১৪:৪১:২৩
‘আমির আতঙ্কে ছিল কেরানীগঞ্জের মানুষ’

স্টাফ রিপোর্টার : কেরানীগঞ্জের আলোচিত শিশু পরাগ অপহরণ মামলার প্রধান আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত আমির ওরফে ল্যাংড়া আমিরের ভয়ে আতঙ্কিত ছিল কেরানীগঞ্জের মানুষ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণসহ ১৪ টি মামলা ছিল। এছাড়াও সারাদেশে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ মিজান শাফিউর রহমান।

এরআগে সোমবার রাতে কেরানীগঞ্জের মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলস সংলগ্ন বেড়িবাধঁ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন আমির।

সংবাদ সম্মেলনে এসপি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বাগেরহাটের শরণখোলা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিরকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বাগেরহাট থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জানা যায়, তার ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি মীরেরবাগ ওরিয়েন্টাল টেক্সটাইল মিলের পাশে একটি স্থানে মজুদ আছে।

পরে আমিরকে নিয়ে কেরানীগঞ্জের পুলিশের ১২ জনের একটি টিম ওই এলাকায় অস্ত্র উদ্ধারে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্রই আমিরকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়লে দু’পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

একপর্যায়ে আমিরের সহযোগীরা পালিয়ে যায়। এ সময় আমিরকে গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আমিরকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এসপি বলেন, আমির আলোচিত পরাগ অপহরণসহ ২টি হত্যা মামলা, ২টি অপহরণ মামলা, ৩টি অস্ত্র আইনে মামলা, ২টি পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা ও পুলিশ হেফাজত থেকে পলায়নের একটি ১টি মামলা এবং চাঁদা দাবি ও গুলি করে আহত করা সংক্রান্ত ৩টিসহ মোট ১৪টি মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২২ মার্চ চিকিৎসক দম্পতি আবু নোমান ও শাহানা নোমান রিকশাযোগে বাসায় ফেরার পথে কেরানীগঞ্জের র্যাবব অফিসের কাছাকাছি পৌঁছলে আমির ও তার সহযোগীরা রিকশা থামিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। ২৩ তারিখের মধ্যে চাঁদা না দিলে মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। এ সময় তাদের হাতে একটি লাল কালিতে লেখা চিরকুট ধরিয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে রিকশাচলক আবুল কালামের (৩৫) পায়ে দুই রাউন্ড গুলি করে চলে যায়।

তিনি আরও বলেন, ২০১২ সালের ১১ নভেম্বর আমির ও তার সহযোগীরা মুক্তিপণের লক্ষ্যে শুভাঢ্যা এলাকার ব্যবসায়ী বিমল চন্দ্র মন্ডলের ছেলে পরাগ মন্ডলকে (৬) স্কুল যাওয়ার পথে অপহরণ করে। এ সময় বিমলের স্ত্রী, মেয়ে ও তাদের গাড়ির চালকে গুলি করে আহত করে। ঘটনার তিনদিন পর কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আটিবাজার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে পরাগকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরে আমিরসহ ৯ জনকে অস্ত্র-গুলি ও মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার করে পুলিশ।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ০১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test