E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে দায়িত্ববোধ থেকে’

২০১৭ আগস্ট ১৭ ২৩:৩০:০৬
‘রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে দায়িত্ববোধ থেকে’

স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার প্রধান এবং দলীয় প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব হচ্ছে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকার ও দলীয় অবস্থান রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা। সেই দায়িত্ববোধ থেকে বিষয়টি তাকে (রাষ্ট্রপতি) জানানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বৃস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন নন-ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের চলমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিও রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।

ষোড়শ সংশোধনীর রায় পরিবর্তন করতে সরকার প্রধান বিচারপতির ওপর চাপ প্রয়োগ করছে-বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক অভিযোগেরও জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কে কাকে চাপ দিয়ে কী করছে-এই গুজব কোথা থেকে আসছে? ওই পদের কাউকে চাপ দিয়ে কিছু করানো যাবে? এই কথা বলে তো তাদেরকে ছোট করা হচ্ছে।’

বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রায় নিয়ে তো লাফালাফি করছেন, রায় কী পড়ে দেখেছেন? রায়ে ‘ব্যানানা রিপাবলিকের অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ’ অংশ কি পড়েননি? আমার মনে হয় পড়েছেন। এজন্যই তো নিরবতা পালন করছেন। এই নিরবতার মানে হচ্ছে-আপনারা এই অংশটি মেনে নিয়েছেন।

‘রায় নিয়ে আমরা লাফালাফি করছি না। আমাদের মধ্যে কোনো অস্থিরতাও নেই। কারণ জনগণ আমাদের ক্ষমতার উৎস। জনগণ ক্ষমতায় রাখতে পারে, জনগণ ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে পারে। যাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয় তারা একটা ইস্যু পেলেই লাফালাফি করে। আট বছরে আট মিনিটও রাজপথে থাকতে পারেন না, অথচ লাফালাফি করেন, লজ্জা করে না? মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

পূর্বপরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপির মন খারাপ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, মিথ্যা ইস্যু বানিয়ে কাজ হচ্ছে না, তাদের মন খারাপ। এর প্রথম কারণ, ষোড়শ সংশোধনী রায়ে নতুন একটি ইস্যু পেয়ে এখান থেকে ফায়দা পাওয়া যাবে বলে ব্যারিস্টার মওদুদ পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরামর্শে দলটির নেতারা বিষয়টি নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেও জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারছে না। কোনো কাজ হচ্ছে না।

বিএনপির মন খারাপ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, গত ১৫ আগস্ট ভোরে আরেকটা ১৫ আগস্ট, আরেকটা একুশে আগস্টের মতো জঙ্গিবাদি হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর পরিকল্পনা পণ্ড হওয়ার পর বিএনপির মন খারাপ। পাঁচশ মানুষকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল। আল্লাহ রক্ষা করেছেন।

‘আর তৃতীয় কারণ, জন্মদিবসের কেক, বন্যার্তদের নাম নিয়ে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন। আসলে জনগণের অবরুদ্ধতার মুখে কেক কাটতে না পেরে তাদের মন খারাপ হয়ে গেছে’-যোগ করেন কাদের।

নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন খারাপ করে বিএনপির রাজনীতি এখন বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো হয়ে গেছে। যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। সবাই সতর্ক থাকবেন, সজাগ থাকবেন। আঘাতে আঘাতে আমরা স্তিমিত নই। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, আমরা এগিয়ে যাব।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন করে কী লাভ হয়েছে? জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুনর্বাসন না করত, তাহলে আরেকটি খুনি চক্র জিয়াকে হত্যার দুঃসাহস দেখাত না। যে বুলেট শেখ হাসিনাকে, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে। হত্যার রাজনীতি থেকে আপনারাও রেহাই পাননি।’

প্রসঙ্গত, বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী ছিলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test