E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

বাজেট পাস হচ্ছে আজ

২০১৪ জুন ২৯ ০৯:২৭:২২
বাজেট পাস হচ্ছে আজ

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় সংসদে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হচ্ছে আজ রবিবার। প্রস্তাবিত বাজেটে সামান্য পরিবর্তন আনা হলেও চূড়ান্ত বাজেটে উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। বাজেট পাস হলে আগামীকাল পয়লা জুলাই থেকে নতুন বাজেট কার্যকর হবে।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৫ জুন জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার, যা জিডিপির ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আকার ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে বাজেটে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে বিশ্বব্যাংকের মতে, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে বিনিয়োগ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করতে হবে। জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে বড় কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। বাজেট পেশের পর অর্থমন্ত্রী কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হবে না বললেও আবাসন খাতে সীমিত আকারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের লাভের ওপর করারোপের (গেইন ট্যাক্স) যে প্রস্তাব করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এছাড়া বাজেটে সাবান ও ডিটারজেন্টের ওপর আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধি ও দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা বহাল থাকছে বলে জানা গেছে। আগামী অর্থবছরের চূড়ান্ত বাজেটে মোবাইল ফোনের আমদানির ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব রহিত করা হতে পারে। তবে মোবাইল ফোনের ব্যবহারের ওপর সারচার্জ আরোপের বিষয়টি বহাল থাকছে। পাইপলাইনের গ্যাসের অপচয়রোধে এলপিজি সিলিন্ডার সহজ শর্তে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার হতে পারে। চূড়ান্ত বাজেটে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়া, প্লাস্টিক পণ্য এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুবিধার বিষয়টি বহাল রাখা হচ্ছে। বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, দেশের উন্নয়ন এবং বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে আমি একটা গুড বাজেট দিয়েছি। সবাই আমার বাজেটের প্রশংসা করেছে। সমালোচনা যেটা এসেছে সেটা গতানুগতিক। এরা প্রতিবারই আমার সমালোচনা করে। মুহিত বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব কোনো মহল থেকেই আসেনি। সংসদ সদস্যরা দুই-একটি বিষয়ে সংশোধন আনতে বলেছেন। সেগুলো বিবেচনায় আনা হবে। সে কারণেই বলছি, এবারের বাজেটে তেমন কোনো পরিবর্তন আসবে না। ছোটো-খাটো কিছু বিষয়ে সংযোজন-বিয়োজন আসতে পারে। তবে সব কিছুই চূড়ান্তভাবে প্রধানমন্ত্রীর ওপর নির্ভর করবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী। প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা না বাড়িয়ে গত অর্থবছরের দুই লাখ ২০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। বাজেটের ওপর আলোচনায় অনেক সংসদ সদস্য মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রেখে এই সীমা বাড়ানোর দাবি করেছেন। ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও বাজেট পেশের আগ থেকেই এ সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছে। সূত্র জানায়, দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে মন্দাবস্থা চলমান অবস্থায় নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তবে রাজনৈতিক আকাশের কালো মেঘ এখনও কেটে যায়নি। অর্থমন্ত্রীও বারবার স্বীকার করেছেন, বেসরকারি খাতে আস্থা এখনও ফিরে আসেনি। নতুন সরকার চাচ্ছে জনপ্রত্যাশা পূরণ করতে। বর্তমান সরকারের ওপর আগের মেয়াদে নেয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের চাপও রয়েছে। যদিও নিম্নপর্যায়ের স্তিমিত অর্থনীতির মধ্যেও এক ধরনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে। তবে তা চাহিদা ও সম্ভাবনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। তারপরও বাড়াতে হচ্ছে ব্যয়। আর উচ্চ ব্যয় সামাল দিতে বাড়াতে হবে আয়ের খাত। এমন কঠিন বাস্তবতার মধ্যেই নতুন সরকারের প্রথম বাজেট দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শনিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রস্তাবিত বাজেটকে অত্যন্ত সময়োপযোগী উল্লেখ করে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই অর্থমন্ত্রী বাজেট দিয়েছেন। এই বাজেটের পর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায়নি। প্রত্যেকটি শ্রেণি-পেশার মানুষের সমস্যা দূর করতে এমন একটি বাস্তবমুখী বাজেট দেয়া হয়েছে। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সরকারের আর্থিক প্রস্তাবাবলি কার্যকরণ এবং কতিপয় আইন সংশোধনে আনীত অর্থবিল-২০১৪ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। এ সময় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। (ওএস/এইচআর/জুন ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test