দুবলার চরে রাসমেলা
২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর চন্দ্রিমার আলোকমালায় শোভিত নীরব চরাঞ্চল সরব হয়ে উঠবে পুণ্যার্থীদের প্রার্থনা আরাধনায়। বাঙালি হিন্দুদের অন্যতম প্রধান পার্বণ রাস উত্সব দুবলারচরের আলোরকোলে নতুন এক বিশেষ মাত্রায় সাড়া ফেলেছে বাঙালি হিন্দু সমাজে। সাগর-প্রকৃতির অভাবনীয় সৌন্দর্যের মাঝে পুণ্য অর্জন আর আনন্দ-সঞ্চার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আগে থেকেই যাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা
কার্ত্তিক-অগ্রহায়ণের শুক্লপক্ষের ভরা পূর্ণিমায় সাগর যখন উছলে ওঠে, লোনা পানিতে ধবল চন্দ্রালোক ছলকে যায় অপার্থিব সৌন্দর্য রচনা করে, চন্দ্রিমার সেই আলোকমালায় সাগর-দুহিতা দুবলার চরের আলোর কোল মেতে ওঠে রাস উত্সবে। সেখানে প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রার্থনায় বসেন পুণ্যার্থীরা। তারা সাগরকে সামনে নিয়ে নির্জনে কৃষ্ণপূজার সঙ্গে দেবতা নীল কমল আর গঙ্গাদেবীর আরাধনায় নিমগ্ন হন। পাপমোচন করেন সমুদ্রস্নানে। সূর্যোদয়ে পানিতে ভাসিয়ে দেন ফল ফুল। অত:পর ঢাক-ঢোলক-কাসা-মন্দিরা বাজিয়ে ভজন-কীর্তনে নিনাদিত করেন চারপাশ। পূজা-অর্চনার ফাঁকে সূর্যাস্তের পর সাগরকে সাক্ষী করে আকাশের বুকে উড়িয়ে দেয়া হয় ফানুস।
বাঙালি হিন্দুদের বার মাসে তের পার্বণের একটি হলো এই রাস উত্সব। প্রকৃতির অকৃপণ হাতের সৃষ্টি ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের প্রান্তঃসীমায় এই রাস মেলায় ঢল নামে দূর-দূরান্তের বেশুমার তীর্থযাত্রীর। সেখানে একদিকে অ্যাডভেঞ্চার অন্যদিকে ভয় আর শিহরণ। জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। বনের প্রতিটি মুহূর্ত যেন রহস্য আর রোমাঞ্চঘেরা। এ মেলায় দর্শনার্থীরা যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাবনীয় রূপমঞ্জরি ভরে উপভোগ করতে। নীরব সুন্দরবন প্রতি বছরের এই উত্সবের দিনগুলোতে যেন লোকালয় হয়ে জেগে ওঠে। বনের বুক চিরে জালের মতো ছড়ানো নদীগুলোতে লঞ্চ, ট্রলার-ইঞ্জিন নৌকার অবিরাম চলে ভটভট আওয়াজ। আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে তিন দিনের রাসমেলায় আগমনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীরা।
মেলায় দর্শনার্থী ও পুর্ণার্থীদের নিরাপত্তায় বনরক্ষীদের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও পুলিশের কঠোর টহল ব্যবস্থা থাকে্।
মেলায় গিয়ে যা অবলোকন হবে
এখন মাছের মৌসুম। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় ১২ হাজার জেলে অস্থায়ী ডেরা গেড়েছে দুবলার চরে। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে জেলেরা এখানে শুঁটকি তৈরি করে। দেখা যাবে জেলেদের জীবনধারা। এছাড়া জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য আর কলাকৌশলও দেখা যাবে দুবলার চরে বসে। দেখা যাবে উভচর, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী। পাখির কুজন। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হরিণ। তার অপরূপ মায়াবী চোখ ও দেহসৌষ্ঠব দিয়ে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। দুবলার চরের আশেপাশে হরিণের পাল দেখা যায় বেশি। আছে অসংখ্য বানর, মদনট্যাক, মাছরাঙ্গা। ভাগ্য থাকলে বাঘের পদচিহ্ন দেখা যেতে পারে। সুন্দরবনে ২২ প্রজাতির উভচর, ১৪৩ প্রজাতির সরীসৃপ ও ১১৬ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পরেই সবচেয়ে আকর্ষণীয় হরিণ। সাগর উপকূলে প্রশস্ত বনভূমি। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাজুড়ে বিস্তৃত। ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গকিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশের ভাগে।
চোরা শিকারিদের পোয়াবারো
রাস মেলাকে ঘিরে প্রতি বছর হরিণ শিকারিদের তত্পরতা চলে। মেলার দুই সপ্তাহ বাকি থাকতেই শুরু হয়েছে চোরা শিকারিদের হরিণ শিকারের অপতত্পরতা। ইতিমধ্যে চোরা শিকারিরা বিভিন্ন ছদ্মাবরণে প্রবেশ করতে শুরু করেছে বনাঞ্চলে। অনেকে বনজীবী সেজে বনবিভাগ থেকে মাছ ও কাঁকড়া ধরার পারমিট নিয়ে হরিণ শিকারের ফাঁদসহ বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে ঢুকে পড়ছে বন অভ্যন্তরে। বিশেষ করে সুন্দরবন সংলগ্ন ৮টি উপজেলার প্রায় শতাধিক শিকারিচক্র মেতে ওঠে মায়াবী চিত্রল হরিণ নিধনের মহোত্সবে। পরিবেশবিদদের ধারণা, সারা বছর সুন্দরবন থেকে যে পরিমাণ হরিণ শিকার হয় রাসমেলাকে ঘিরে তার চেয়ে বেশি-সংখ্যক হরিণ শিকার হয়ে থাকে। বনবিভাগের পক্ষে মেলাকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, মেলা উপলক্ষে রাস পূর্ণিমায় নিরাপদে যাতায়াতের জন্য তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ আটটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড বাহিনী যাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
নাইলনের ফাঁদ, জাল পেতে, স্প্রিং বসানো ফাঁদ, বিষটোপ, তীর বা গুলি ছুঁড়ে, কলার মধ্যে বড়শী দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা ফাঁদসহ পাতার উপর চেতনা নাশক ঔষধ দিয়ে নিধন করা হয়ে থাকে বিপুলসংখ্যক হরিণ। শুধু এখানেই শেষ নয়, কোন ফাঁদে হরিণ ধরা পড়লে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থানরত শিকারিরা ছুটে গিয়ে আটক হরিণকে লাঠিপেটা করে নিরাপদ দূরত্ব্বে নিয়ে জবাই করে। এরপর চামড়া, শিংসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ পাঠিয়ে দেয়া হয় উপযুক্ত ক্রেতাদের কাছে। এরপর শুরু হয় মাংস দিয়ে ভুরিভোজের আয়োজন। লন্ডনভিত্তিক ওয়াইল্ড লাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ ও জিওলজিক্যাল সোসাইটির তথ্যমতে, সুন্দরবনে বছরে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি হরিণ শিকারীদের হাতে মারা পড়ে। সুন্দরবনের বনবিভাগের হিসাব মতে, বনের বাংলাদেশ অংশে বর্তমানে ১ লাখ ২০ হাজার চিত্রল হরিণ রয়েছে। তবে আয়তন, খাদ্য ও সার্বিক পরিবেশের উপর নির্ভর করে এর প্রকৃত সংখ্যা। মেলা উপলক্ষে দর্শনার্থী ও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব চোরা শিকারিরা সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর, আলোর কোল, কটকা, কচিখালী দুবলা চান্দেরশ্বর, বগি, চরখালী, তালপট্টিসহ যে সকল এলাকায় হরিণের বেশি বিচরণ শিকারিরা সে সব এলাকায় ফাঁদ দিয়ে শিকার করে হরিণ। তবে এবার মেলাকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে কঠোর। এজন্য সুন্দরবন জুড়ে বন বিভাগ, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মেলা চলাকালীন জারি করা হবে অঘোষিত রেড এলার্ট। বাতিল করা হয়েছে বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি। এত নিরাপত্তার চাদর ভেদ করে কীভাবে এবং ঠিক কি পরিমাণ হরিণ শিকার হয় তাই-ই এখন দেখার বিষয়।
সুন্দরবন সংলগ্ন চোর শিকারি চক্র এক প্রকার ফেরি করে বিক্রি করে থাকে হরিণের গোশ্ত। বনরক্ষীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ছে ফাঁদসহ শিকারিদের কেউ কেউ, উদ্ধার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ গোশ্ত। হরিণ নিয়ে এমন চিত্র বলে দেয় সুন্দরবনের গহীনেও ভাল নেই অন্যতম প্রধান আকর্ষণীয় নিরীহ প্রাণীরা। খুলনার কয়রা উপজেলার মহেশ্বরীপুর, কালিকাপুর, চৌকুনি, তেঁতুলতলার চর, শেখেরকোনা, মাঠের কোন, ৪নং কয়রা, ৬নং কয়রা, শাকবাড়িয়া, গুড়িয়াবাড়ী, পাতাখালী, জোড়াশিং, গোলখালি, খাশিটানা, গতির ঘেরি, পাইকগাছার চাঁদখালি, লস্কর, সোলাদানা, পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের, শ্যামনগর, উপজেলার গাবুরা, ডুমুরিয়া, ৯নং সোরা, পারশেমারী, চাঁদনীমুখ, জেলেখালী, বুড়িগোয়ালিনীর দাতিনাখালী, মুন্সীগঞ্জের বিজয় সরদারের ঘাট, মীরগাং, যতীন্দ্র নগর, রমজাননগর, কালিঞ্চি, টেংরাখালী, কৈখালী, জয়খালী, বাগেরহাটের শরণখোলা, সোনাতলা, তাফালবাড়ী, চালরায়েন্দা, উঃ তাফালবাড়ী, তালজোড়া, মংলাসহ সুন্দরবন সংলগ্ন হরিণটানা, মরাতোলা, তেঁতুলবাড়িয়া, আড়াইবেঁকী, নাওলী জনপদের বহু মানুষ এক প্রকার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন হরিণ শিকার।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা, পাইকগাছা শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জ, নওয়াবেঁকী, কাশিমবাড়ী, বংশীপুর, নুরনগরসহ সেখানকার প্রত্যন্ত এলাকায় কেজি প্রতি হরিণের গোস্ত পাওয়া যায় মাত্র ৪/৫শ’ টাকায়। এছাড়া তাদের কাছ থেকে একশ্রেণির ব্যবসায়ী গোস্ত কিনে তা বিভিন্ন মাধ্যমে পাচার করছে দেশের বিভিন্ন জেলা সদরসহ রাজধানীতে। কখনও কখনও তাদের দু’-এক জন গ্রেফতার হলেও অধিকাংশই রয়ে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তবে বনবিভাগের চেয়ে পুলিশের হাতে মাংস উদ্ধারের ঘটনা বেশি ঘটে থাকে।
রাস মেলায় গমনে ৮ পথ
এদিকে রাস মেলা উপলক্ষে বন বিভাগ ৮টি পথ নির্ধারণ করেছে। সেগুলো হলো বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোষ্টা হংসরাজ নদী হয়ে দুবলারচর। কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদারগাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর। কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর। নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর। ঢাংমারী/চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলারচর, বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
রাসমেলা উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন ‘ইত্তেফাক’কে জানান, বঙ্গোপসাগর কূলে সুন্দরবনের দুবলার চরে আলোর কোলে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। অতীতে শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এই উত্সবে যোগ দিলেও কালের বিবর্তনে এখন তা নানা ধর্ম-বর্ণের লোকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। জিয়াউদ্দিন জানান, আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে এবার বেশ জমজমাটভাবে মেলা উদ্যাপনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। মংলাসহ সুন্দরবনের ৮টি পয়েন্ট দিয়ে রাসমেলায় প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। রাসমেলা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন ও এর নিরাপত্তায় বন বিভাগ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তাসহ হরিণ শিকার রোধে বনরক্ষীদের পাশাপাশি মেলায় এবারও র্যাব, কোস্টগার্ড ও পুলিশের টহল থাকবে। মেলায় চোরা শিকারিদের রুখতে সব ধরনের দর্শনার্থীর অগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
যেভাবে সূচনা রাসমেলার
লোকালয় থেকে বহুদূরে সুন্দরবনের দক্ষিণে কুঙ্গা ও মরা পশুর নদের মাঝে বিচ্ছিন্ন চর দুবলার আলোরকোলের এই রাস উত্সব ধারণ করে আছে বহু বছরের ইতিহাস। ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলা শুরু করেছিলেন। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করতেন। অন্য মতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাসমেলার। আবার কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোত্সবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষেই দুবলার চরে পালিত হয়ে আসছে রাস উত্সব। আব্দুল জলিলের সুন্দরবনের ইতিহাস গ্রন্থ থেকে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ফরিদপুর জেলার ওড়াকান্দি গ্রামের জনৈক হরিচাঁদ ঠাকুর স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পূজা পার্বণাদি ও অনুষ্ঠান শুরু করেন দুবলার চরে গিয়ে। তারপর থেকে মেলা বসছে। লোকালয়ে এই মেলা নীল কমল নামে পরিচিত।
কী হয় মেলাতে
যেখানে সাগরের ঢেউয়ের গর্জন আর বনের হিরণ্ময় নিস্তব্ধতা ছাড়া কিছুই নেই। সেই সাগরের চর তিনদিনের রাস উত্সবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। আলোয় আলোয় ভরে যায়। হিন্দু নর-নারী এ মেলাকে গঙ্গাসাগরের মতো তীর্থস্থান মনে করে। এই মেলাকে অনেকে মগদের মেলা বলে মনে করে থাকেন। লাখ লাখ ভ্রমণবিলাসী মানুষ সুন্দরবন এবং সাগরদর্শনে আনন্দ উপভোগের জন্য যান সেখানে। সমুদ্র কোলে পাঁচ মাইল প্রশস্ত বালুকাবেলায় পদব্রজে ভ্রমণ করেন। সৌন্দর্য পিপাসুদের ক্যামেরায় বন্দী হয় আশ্চর্য সুন্দর সব চিত্র। তীর্থযাত্রী ও ভ্রমণকারীরা নৌকায় রান্না ও আহার এবং বালুচরে ঘুরে বেড়ান। সেই সাথে এই ৩ দিন বনের ভিতরে নির্ভয়ে চলাফেরা করে মেলায় আগত মানুষ। শত শত নৌকা-ট্রলার ও লঞ্চের সমাগমে স্থানটি সজ্জিত হয়ে ওঠে আলোর ঝলকে। সন্তানহীন ধর্মনুরাগী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা দুবলার মেলায় মানত করেন এবং মেলায় এসে মানতকারীরা আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠানাদি সম্পন্ন করে থাকেন। মেলায় বাদ্য, নৃত্য, গীত ও বিবিধ প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকে। পসার বসে কুটির শিল্পের দোকান ছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, ফল-ফলাদি, মিষ্টান্ন, মনোহারির সামগ্রীর। এ মেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও আসেন ভারত, আমেরিকা, মিয়ানমারসহ আশপাশ দেশের বিদেশি পর্যটক
পাঠকের মতামত:
- ধানে ভরপুর ভৈরবের মোকাম, দাম নিয়ে হতাশ কৃষক-ব্যবসায়ীরা
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতির শ্রদ্ধা
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বর্তমান সরকারের ভূমিকা
- আশুলিয়ায় স্বামীর পিটুনিতে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু
- জাবি উপাচার্যের নামে ভুয়া মেইল আইডি, তথ্য আমলে না নেওয়ার আহ্বান
- মহম্মদপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- 'ফরিদপুর সদর উপজেলার জনগণ মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিতে ৮ তারিখের অপেক্ষা করছে'
- গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ ছাত্র নিহত
- ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কোন লাভ হবে না’
- দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াবে পিএসজি, আশাবাদী এনরিক
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা
- উপজেলা ভোটের দ্বিতীয় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার শুরু
- ‘মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করবো’
- কক্সবাজারে বজ্রপাতে দুই লবণচাষী নিহত
- ওমরাহ পালনে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
- শুক্রবার চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তানের মহাকাশযান
- ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে কলম্বিয়া
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৩৪৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত
- হবিগঞ্জে ট্রাক-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫
- হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসের জামিন
- ‘থাইল্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারত্বের নতুন যুগের সূচনা হয়েছে’
- জীবন দিয়ে হলেও আমরা পাকিস্তানকে রক্ষা করবো : সবুর খান
- বিচ্ছেদ হয়েছে মেয়ের, বিয়ের দিনের মতো বাদ্য বাজিয়ে ঘরে তুললেন বাবা
- তীব্র গরমে ঈশ্বরদীতে ফল ও শরবতের বাজারেও সিন্ডিকেট
- মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- কেন্দুয়ায় পুকুরে বালু উত্তোলনের সময় গ্রেনেড উদ্ধার
- কেন্দুয়ায় ৩টি চোরাই মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার
- 'ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট প্রতিস্থাপন ও একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে'
- ‘দেশের মানুষ নূন্যতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত’
- ঢাকাকে পরিবেশবান্ধব সুন্দর শহরে রুপান্তরিত করা হবে
- বরগুনায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি
- সাভারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ৭
- ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
- ফরিদপুরে পথচারীদের ঠান্ডা শরবত বিতরণ করলো ‘মানবতার তরঙ্গ’
- নড়াইলে হাইব্রিড জাতের যুবরাজ ধান কর্তন উপলক্ষে মাঠ দিবস পালিত
- ফরিদপুরে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
- নীলফামারীতে মহান মে দিবস পালন
- দাবদাহে অতিষ্ঠ মাশরাফী, মধুমতীতে তিন ঘণ্টার জলকেলি
- নড়াইলে গাঁজা ও টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার
- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ‘দুর্নীতি হয়ে থাকলে কমিটি করে দুর্নীতিবাজদের বিচার করা হবে’
- রাজৈরে অসহায় পরিবারের ওপর হামলা, উচ্ছেদের পাঁয়তারা
- কাশিয়ানীতে ক্লিনিক মালিককে জরিমানা
- নড়াইলে গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারি আটক
- তীব্র গরমে ক্রেতা সংকটে ঈশ্বরদী বাজারের ব্যবসায়ীরা
- তীব্র তাবদাহে কাপ্তাইয়ে শরবত বিতরণ
- কাপাসিয়ায় মে দিবস পালিত
- দেশে বেকারের সংখ্যা ৩ শতাংশ : প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর পথেই শেখ হাসিনা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !