E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জানুয়ারির আগে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয় : হোয়াইট হাউস

২০২০ মে ০৩ ২৩:১১:৫৬
জানুয়ারির আগে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয় : হোয়াইট হাউস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হোয়াইট হাউসের করোনা মোকাবিলায় গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. দেবোরাহ বার্ক্স বলেছেন, কাগজে কলমে জানুয়ারির আগে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব নয়। তবে এজন্য সঠিকভাবে সব কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়া দরকার।

আগামী বছর শুরুর আগে করোনার একটি ভ্যাকসিন পাওয়া কতটা বাস্তবসম্মত- এমন প্রশ্ন করা হলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে কমপক্ষে ১২ থেকে ১৮ মাস সময়ের দরকার।

ডা. দেবোরাহ বার্ক্স বলেন, আর এটা তখনই সম্ভব যদি এক সঙ্গে পাঁচ থেকে ছয়টি ভ্যাকসিনের কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যায়। এই কাজও দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করতে হবে। একক কোনো ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরি করতে হবে; যেগুলো ভিন্ন ভিন্ন কাজ করবে।

তিনি বলেন, এরপর এসব ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা দ্রুত চালানো দরকার। কাগজে-কলমে তখনই এটা সম্ভব। আমরা যদি এটা করতে পারি, বিশ্বজুড়েই যদি করা যায়। এটা সর্বশেষ তৃতীয় ধাপের পরীক্ষাতেও সফল হতে হবে। কারণ এর কার্যকরীতা প্রমাণের জন্য একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাইরাসটির সক্রিয় সংক্রমণ ঘটাতে হবে; সেটি প্রতিরোধও করতে হবে।

এর আগে, মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আগামী নভেম্বরের মধ্যেই বিশ্বে করোনার যেকোনো একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন পাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যদি পাওয়া যায় তাহলে নভেম্বরেই এই ভ্যাকসিনের ১০০ মিলিয়ন ডোজ উৎপাদনেরও লক্ষ্য ঠিক করেছেন তারা; যা ডিসেম্বরে ২০০ মিলিয়ন এবং আগামী বছরের জানুয়ারিতে ৩০০ মিলিয়ন ডোজে পৌঁছাবে।

মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ প্রশাসন করোনার জরুরি মুহূর্তের চিকিৎসায় রেমডেসিভির প্রয়োগের যে অনুমতি দিয়েছে সেব্যাপারে হোয়াইট হাউসের এই সমন্বয়ক বলেন, এটি করোনা চিকিৎসার প্রথম পদক্ষেপ।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হেলথ ইন্সটিটিউট করোনা রোগীদের চিকিৎসায় রেমডেসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালায়। এতে দেখা যায়, যেসব রোগীকে এই ওষুধ দেয়া হয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় দ্রুত সেড়ে উঠছেন। তবে ওষুধটি মৃত্যু হার কমানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি।

প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৭ হাজার ৫৫২ জন; যা বিশ্বে একক কোনো দেশে সর্বোচ্চ। এছাড়া দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৬৮ এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯১০ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে চার হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৪৯২ জন।

দেশে দেশে তাণ্ডব চালানো এই ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন কিংবা ওষুধ এখন পর্যন্ত আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শতাধিক ভ্যাকসিন এবং ওষুধ তৈরির প্রকল্প চলমান রয়েছে। ইতোমধ্যে ছয়টি বেশি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা গিলবার্টের নেতৃত্বে একদল গবেষক করোনার একটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন; ইতোমধ্যে তা মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগও হয়েছে।

সারা গিলবার্ট ভ্যাকসিনটির কার্যকরীতার ব্যাপারে ৮০ শতাংশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

(ওএস/এসপি/মে ০৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test