E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৫৭ দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু

২০২০ নভেম্বর ১৭ ১৮:৫৪:০১
৫৭ দিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত ৫৭ দিনে সর্বোচ্চ। আর গত একদিনে শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ২১২ জন করোনা রোগী, যা গত ৭৬ দিনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

এর আগে গত ২১ সেপ্টেম্বর দেশে করোনাভাইরাসে একদিনে ৪০ জনের মৃত্যু হয়। এর পর মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলক কমতে থাকে। এদিকে গত ২ সেপ্টেম্বর দেশে একদিনে ২ হাজার ৫৮২ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর পর প্রতিদিন ২ হাজারের নিচে শনাক্ত হয় করোনা আক্রান্ত রোগী।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৭টি ল্যাবরেটরিতে ১৬ হাজার ৬০২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২১২ জন। গত ৭৬ দিন পর যা সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল চার লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জনে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী রয়েছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ২৫৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮১ শতাংশ। এছাড়া শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর প্রথম করোনা রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। আজ পর্যন্ত করোনায় মৃত মোট ৬ হাজার ২৫৪ জনের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৮১৩ জন (৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ) এবং নারী এক হাজার ৪৪১ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ)।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শীতে সারাবিশ্বে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বাংলাদেশেও এ পরিস্থিতির অবনতির শঙ্কা করছেন অনেকে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অনেকাংশেই করোনাভাইরাস আছে মোট চার রকমের, যা সাধারণ সর্দি-জ্বরের লক্ষণ সৃষ্টি করে। প্রতিটিই সহজে ছড়ায় শীতের সময়। ইনফ্লুয়েঞ্জা, রাইনোভাইরাস এবং আরএসভি নামে আরেকটি ভাইরাস– এর সবগুলোরই আচরণ মোটামুটি একই ধরনের। পাশাপাশি শীতের সময় একই সঙ্গে শীতকালীন ইনফ্লুয়েঞ্জা আর করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানী ও গবেষকরা।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test