E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে ভারত, দাম হাজার রুপি

২০২০ নভেম্বর ২০ ২৩:০৮:২০
ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন পাবে ভারত, দাম হাজার রুপি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও বিট্রিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের মানুষকে দেয়া শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদর পুনাওয়ালা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সম্মেলনে পুনাওয়ালা বলেন অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন ফেব্রুয়ারি নাগাদ ভারতের স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়স্কদের কাছে পৌঁছাবে। আর এপ্রিলের মধ্যে পাবে সাধারণ জনগণ। সহজলভ্য এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজের দাম পড়বে সর্বোচ্চ ১ হাজার রুপি।

পুনাওয়ালা এও জানিয়েছেন যে, সব কিছু নির্ভর করছে চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালের সাফল্য ও ভ্যাকসিন তৈরিতে সরকারি অনুমোদনের ওপর। তবে বৃহস্পতিবার ‘ল্যানসেটে’ অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল নিয়ে দ্বিতীয় দ্বিতীয় ধাপের ফলে দেখা যাচ্ছে, বয়োজ্যেষ্ঠদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটির রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতা ভালো।

২০২৪ নাগাদ সব ভারতীয়কে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার আশা প্রকাশ করেন তিনি বলেন, ‘সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে দুই বা তিন বছর সময় লাগতে পারে। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট, অবকাঠামো ইত্যাদি প্রয়োজন বলে এত সময় লাগবে। একই সঙ্গে এই ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য মানুষকেও আগ্রহী হতে হবে।’

তবে যদি সকলেই যদি ইচ্ছুক হন, তাহলে ২০২৪ সালের মধ্যেই ভারতের সব নাগরিককে করোনার ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে বলে মনে করেন বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটির প্রধান। তবে দেশের দেশের প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকাগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের প্রতিবন্ধকতার কথাও বলেছেন তিনি।

সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে আদর পুনাওয়ালার বলেন, ‘অনেক বেশি পরিমাণে কিনছে বলে সরকারের ভ্যাকসিন কিনতে খরচ আরও কম হবে। আমরা চেষ্টা করেছি ভ্যাকসিনের দাম যতটা সম্ভব কম রাখতে। যাতে তা সব মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকে। তবে তা কোনোভাবেই এক হাজার রুপির বেশি হবে না।’

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের উৎপদাক এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন সরবরাহের ক্ষেত্রে সেরাম ইনস্টিটিউট ভারতকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এর বাইরে শুধু বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো দেশের সঙ্গে এখন চুক্তিতে যেতে চাইছে না প্রতিষ্ঠানটি।

অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সঙ্গে এ মাসের প্রথম সপ্তাহে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ সরকার।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের আগে সম্প্রতি তিনটি ভ্যাকসিনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা গেছে। এগুলো হলো ফাইজার-বায়োএনটেক, স্পুটনিক ও মডার্না। ফাইজারের ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর বলে দাবি করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের উল্লেখ করার মতো কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা যায়নি বলে দাবি ফাইজারের।

যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি মডার্না ইনকরপোরেশন গত সোমবার তৃতীয় ধাপের ফলাফলের বরাত দিয়ে দাবি করেছে যে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মহামারি কোভিড-১৯ ঠেকাতে ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ কার্যকর। আর রাশিয়ার দাবি, তাদের তৈরি স্পুটনিক নামের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ৯০ শতাংশের বেশি।

গবেষকরা বলছেন, বিখ্যাত ব্রিটিশ চিকিৎসা বিষয়ক জার্নাল ল্যানচেটে প্রকাশিত দ্বিতীয় দফার ফলাফলে ভ্যাকসিনটির ডোজ নেয়া ৫৬০ সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীর এ সংক্রান্ত যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা ‘আশা জাগানিয়া’। এ ছাড়া এই ভ্যাকসিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নেই বলে ল্যানচেটে পিয়ার রিভিউ হওয়া ফলাফলে জানানো হয়েছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test