ভোলা প্রতিনিধি : ভোলায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপনের লক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপগুলোতে ৪ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। জেলার ১০৩টি মণ্ডপের মধ্যে একটি মণ্ডপে পূজা স্থগিত করা হয়েছে। ফলে এ বছর পূজা হচ্ছে ১০২টি মন্দিরে।

জেলা গোয়েন্দা শাখার দেয়া তথ্যে জানা গেছে, ১০২ মণ্ডপের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪৮টি মণ্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোর মধ্যে জেলা সদরের ৮টি, দৌলতখানের ৬টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলার ২০টি, লালমোহন উপজেলায় ৩টি, চরফ্যাশনে ৪টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ২টি এবং মনপুরা উপজেলায় ৫টি মণ্ডপ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে জানান, শান্তিপূর্ণ পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর জেলার ১০২টি পূজামণ্ডপে পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে ৮টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ১২টি ভিভিলেন্স টিম গঠন করা হয়েছে। গত বছরের তুলানায় এ বছর উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা রাখছি।

তিনি আরো বলেন, এ বছর ভোলা সদরের ২৫টি মণ্ডপে গড়ে ৪০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি মণ্ডপের জন্য গড়ে ৫০০ কেজি করে চাল এবং পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর এলাকার ১৩টি মণ্ডপে গড়ে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

ভোলার পুলিশ সুপার মো. মোকতার হোসেন জানান, সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে মণ্ডপগুলোতে চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে স্থানীয় ফোর্স ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, ডিএসবি, ডিবি এবং জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও নিয়োজিত থাকবে মোবাইল টিম।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭)