স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খুন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ সংযোগ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুই জ্যেষ্ঠ নাগরিক সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তারা লাখ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা বন্ধের জন্য মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসব অপরাধের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির বিধানের জন্যও তারা মিয়ানমার সরকারের কাছে দাবি জানান।

বুধবার সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ.কিউ.এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রেস সচিব জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

তারা বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সমঝোতামূলক আদান-প্রদান হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাই উভয় দেশকে অনতিবিলম্বে আলোচনার টেবিলে আসতে হবে।

দুই দেশকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের অবিলম্বে মিয়ানমারে ফেরত নিতে হবে এবং জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমার সরকারের গঠিত কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের সসম্মানে পুনর্বাসন করতে হবে।

বিবৃতিতে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশের সকল মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানান। এর পাশাপাশি তারা বিশ্বজনমত গঠনে তাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করে রাশিয়া, চীন, ভারতসহ অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাষ্ট্রসমূহকে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, যেহেতু নিকট প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ মিয়ানমারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী সেহেতু এ বিষয়ে মিয়ানমার সরকারকে তাদের সৃষ্ট সমস্যার গভীরতা উপলব্ধি করার জন্য আহ্বান জানানো হবে।

তারা আরো বলেন, উভয় দেশের মধ্যে এ ধরনের অনভিপ্রেত ও অমানবিক সমস্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতেই হবে এবং বাংলাদেশসহ মিয়ানমারের মধ্যে সুন্দর প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ক সৃষ্টির ভিত্তি এখনই স্থাপন করতে হবে।

উল্লেখ্য, বি চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেন গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের উপর হামলার প্রতিবাদ ও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবিতে অনুষ্ঠিত সমাবেশে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৭)