নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর পোরশায় ১৬ বছরের এক কিশোরী গণধর্ষণের স্বীকার হয়েছে। ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরীকে আলামত পরীক্ষার জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার চারজনকে আসামি করে থানায় গণধর্ষণের মামলা করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, পোরশা উপজেলার ছাতোয়া গ্রামের রেজাবুলের ছেলে শিমুল (৩০), জেলার পত্নীতলা উপজেলার বোয়ালিয়া দিঘিপাড়া গ্রামের বাবুল রশিদের ছেলে রবিউল ইসলাম (২০), ইসমাইলের ছেলে হাবিবুর রহমান (১৯) এবং মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে জায়েদুল ইসলাম (৩০)। এদের মধ্যে রবিউল ও হাবিবুরকে আটক করা হয়েছে এবং অপর দুইজন পালাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর (বুধবার) বিকেলের দিকে মোবাইল ফোনে কিশোরীকে উপজেলার নোচনাহার মোড়ে ডেকে নেয় আসামিরা। এরপর তারা ওই কিশোরীকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। পরে রাতে জেলার পত্নীতলা উপজেলার দিঘিপাড়া গ্রামের পাশে একটি গভীর নলকুপের ছাদে নিয়ে মেয়েটিকে রাতভর ধর্ষণ করে।

বৃহস্পতিবার ভোরে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় (ইজিবাইক) করে মেয়েটিকে নিয়ে তারা পোরশার শিশা বাজারের দিকে আসছিল। এসময় রাস্তায় টহলরত পোরশা থানার পুলিশ তাদের ইজিবাইক দেখে সন্দেহ হলে দাঁড়াতে বলে। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর অসঙ্গতি বুঝতে পারলে রবিউল ও হাবিবুরকে আটক করে। তবে জায়েদুল ও শিমুল পালিয়ে যায়।

পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছে। দুইজনকে আটক করে শুক্রবার সকালে নওগাঁ জেল হাজতে পাঠানো হয়। বাকি দুইজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ০৬, ২০১৭)