সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : যমুনার পশ্চিম পাড় সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে থানায় গত চার বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনের কবলে ইতোমধ্যে যুমনা গর্ভে বিলীন হয়েছে এ অঞ্চলের তাঁত কারখানা, ঘর-বাড়ি, ফসলি জমিসহ বহু স্থাপনা। অথচ ভাঙনরোধে পাউবো নেয়নি কার্যকর কোন ব্যবস্থা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বরাবরই উদাশীন। সবশেষে চলতি বছরের গত দুই সপ্তাহে যমুনার ভয়াল থাবায় ব্রাহ্মনগ্রাম, আড়কান্দি ও জালালপুরসহ ৮টি গ্রামের প্রায় দেড়হাজার ঘর-বাড়ি, ৩ টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে।

ভাঙনের কবলে পড়ে এ অঞ্চলের মানুষ যখন দিশেহারা তখন বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টায় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ভাঙ্গন এলাকা পরির্দনে আসেন । প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম বীর প্রতীক বৃহস্পতিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণগ্রাম ও জালালপুরে পরিদর্শন শেষে বিকেল সাড়ে পাচটায় সংক্ষিপ্ত পথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এ সময় তিনি ভাঙন প্রতিরোধে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রতিমন্ত্রী শান্তনা দিলেও বাঁধ নির্মানে আশ্বাস দেন । প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নদী তীর রক্ষ বাঁধ নির্মানের বিষয়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের সাথে কথা হয়েছে। তারা এগিয়ে না এলে দেশের টাকা দিয়েই বাঁধ নির্মান করা হবে। তবে এর জন্য কত সময় লাগবে তা বলা যাচ্ছে না। অপেক্ষা করতে হবে ধোর্য্যরে সাথে। তবে বাঁধ নির্মান হবেই।

ভাঙ্গন এলাকা পরির্দনের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য হাসিবুর রহমান স্বপন, পাউবোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম জোন) মোসাদ্দেক আলী, জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, শাহজাদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যÿ আজাদ রহমান, সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ ও মুলøুক চাঁদ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

(এমএসএম/এসপি/অক্টোবর ১৩, ২০১৭)