বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি : পারিবারিকভাবে প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় মৌলভীবাজারের বড়লেখায় একই রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক যুগল। তারা  হচ্ছে পাল্লাতল চা-বাগানের সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস (১৭) ও একই বাগানের মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী (২০)। তারা দুজনই পাল্লাতল চা বাগানে একই সঙ্গে কাজ করত।  রবিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুর একটার দিকে উপজেলার পাল্লাতল চা-বাগানের ১০ নম্বর সেকশনের টিলার কাছে একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। 

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে পাল্লাতল চা-বাগানের সুদাম ধার্মী দাসের মেয়ে হৈমন্তী ধার্মী দাস ও একই বাগানের মিন্টু কেলীর ছেলে আকাশ কেলী নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পরে রাতেই পরিবারের লোকজন তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) ভোরের দিকে চা শ্রমিকরা ঘুম থেকে ওঠে দুজনের ঝুলন্ত লাশ একটি গাছে দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার দুপুর ১টার দিকে লাশ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পারিবারিকভাবে তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় তারা দুজনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘গত (শনিবার) রাত ১টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে প্রেমিক যুগলের আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশি তদন্তে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। লাশ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত শেষে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

(এলএস/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০১৭)