আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : পরিবেশ আইনের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করে অবাদে কাটা হচ্ছে শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চা বাগানের উঁচু পাহাড়গুলো। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন অনুমতি ছাড়াই শ্রীমঙ্গল ভাড়াউড়া চাবাগানের পাহাড় কাটা হচ্ছে।

গোপনীয়ভাবে চলে তাদের পাহাড় কাটার এ কার্যক্রম। তবে তা জানাজানি হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ পাহাড় কাটার প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশগুলো সরিয়ে নেয়।

এভাবে নির্বিচারে পাহাড় কাটার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে প্রাকৃতিক পরিবেশ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক (এডি) রবিবার দুপুরে (১৫ অক্টোবর) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেয়া যায়, ভাড়াউড়া লেইক সংলগ্ন উঁচু পাহাড়টিকে কেটে মাটির সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। লাল মাটি ভেসে উঠেছে উপরে।

এদিকে ১৯৯২ সালের পরিবেশ নীতি ও বাস্তবায়ন কার্যক্রমের ৬(৪) ধারায় স্পষ্ট বলা আছে, ‘পাহাড়ি অঞ্চলে মাটি কেটে সমান করা, মাটি খোদাই ও অপসারণ করে কোনো এলাকার ভূমির প্রাকৃতিক অবস্থা বিনষ্ট করা, পাহাড় থেকে যথেচ্ছভাবে মাটি ও পাথর আহরণ করে এমন প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টির কার্যক্রম বন্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

শ্রীমঙ্গল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আশেকুল হক বলেন, ০১নং খাস খতিয়ানভূক্ত ৬৫নং জেএলস্থিত ভাড়াউড়া চা বাগানের অন্তর্ভূক্ত শিব মন্দিরের সন্নিকটে ১৭২১, ১৭২২ এবং ১৭১১ নং দাগে প্রায় ৩০ হাজার ঘনফুট মাটির টিলা কাটা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ভাড়াউড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ পাহাড় কাটছে এমন খবরে আমরা চলতি মাসের ৫ অক্টোবর ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুঁজে পাই। তবে কোনো লোকজনকে না পাওয়ায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়নি। পরবর্তীতে আমরা আবারও পাহাড় কাটার সত্যতা খুঁজে পাই এবং বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়কে অবহিত করি।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১৬, ২০১৭)