শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে একই পরিবারের ৩জন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে অসহায় বিধবা মা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এতোটুকু সহানুভুতি দেয়ার মত যেনো কেউ নেই তাদের। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারীভাবে সাহায্য সহযোগিতার প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঘোড়াঘাট উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন প্রায় ২০ বছর পূর্বে ২ ছেলে ও ২ মেয়ে রেখে মারা যান। আলতাফ হোসেনের মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ৪ সন্তানকে নিয়ে বহু কষ্টে লালন পালন করতে থাকেন।

বড় মেয়ে শাহারা বেগমের ১৪ বছর বয়সে একই উপজেলার রামপুর টুবঘুরিয়া (শিবপুর) গ্রামে বিয়ে হয়। প্রায় ১৫-১৬ বছর বয়সে ২ সন্তান জন্ম হলে শাহারা বেগম অচেনা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় আরও ২টি সন্তান জন্ম হয়। পরবর্তীতে শাহারা বেগম শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়।

শাহারাকে তার স্বামী তালাক দিলে সে ৪ সন্তানকে নিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে। মেঝ মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয় একই গ্রামে। সে ১ সন্তানের জননী। ছেলে আলমগীর ও ছোট ছেলে মহসিন একই বয়সে তারা অচেনা জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিকভাবে পঙ্গু হয়ে বিধবা মায়ের বোঝা হয়ে অনাহার অর্ধাহারে জীবন যাপন করছে।

মৃত আলতাফ হোসেনের স্ত্রী রেজিয়া বেগম জানান, আমার স্বামী মারা যাবার পর থেকে আমি মানুষের বাড়ীতে কাজ কর্ম করে পঙ্গু ৩ সন্তানের মুখে কিছু দিয়ে তাদেরকে বেঁচে রেখেছি। আমার স্বামী মারা যাবার পর কিছু জমি রেখে গিয়েছিল। তাও বিক্রি করে সন্তানদের লালন পালন করছি। এখন বাড়ীর ৬ শতক জমি ছাড়া আর কিছুই নাই। সরকারীভাবে কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। এমনকি ছেলে মেয়েদের পঙ্গু ভাতা ও আমার বিধবা বা দুস্থ ভাতাও পাইনি। এ ব্যাপারে সরকারী বেসরকারী সংস্থার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রতিবন্ধীদের মা রেজিয়া বেগম।

(এসএএস/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০১৭)