মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) : ১৬ ফুট চওড়া রাস্তা। মানুষ চলাচলের এ সরকারি রাস্তা তারকাঁটা দিয়ে বেড়া দিয়ে আটকে দেয়ায় দুই ভাই-বোনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। গত সাতদিন ধরে এ অবস্থা চলছে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের গামইরতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। “তারকাঁটা” বেড়া দুর্ভোগে বছরের শেষ সময়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মহিমা ও তুতীয় শ্রেণির ছাত্র আল আবদুল্লাহ মামুনের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের শিক্ষা জীবন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, গামইরতলা গ্রামের আ.রাজ্জাক কাজীর স্ত্রী ফরিদা বেগম কয়েকজন নিকটাত্মীয় নিয়ে গামইরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি ওই রাস্তাটি তাদের বাড়ির জায়গার সঙ্গে এক করে তারকাঁটার বেড়া ও জাল দিয়ে আটকে বিীভন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করে দেয়।

গত ১৩ অক্টোবর এ তারকাঁটা কান্ডে গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলেও সরকারি রাস্তা থেতে তারকাঁটার বেড়া অপসারন করেন নি ফরিদা বেগম। একারনে ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধসহ ৭-৮টি পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ৫ মিনিটের রাস্তা ২০-৩০ মিনিট ঘুরে স্কুলসহ বাজারে যেতে হচ্ছে গ্রামবাসীদের।

তুতীয় শ্রেণির ছাত্র আল আবদুলøাহ মামুন জানায়, তারকাঁটা দিয়া রাস্তা আটকে দেয়ায় তাদের এখন ধানের জমির মধ্য দিয়া স্কুলে যেতে হচ্ছে। দুই মিনিটের রাস্তা এখন আধা ঘন্টা ঘুরে যেতে হচ্ছে। আর এ বর্ষায় ফসলী জমি ডুবে থাকায় গত তিনদিন স্কুলে যেতে পারিনি। একই অবস্থা অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের।

স্কুল ছাত্রী মহিমার পিতা মালেক কাজী কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, ফরিদা বেগম প্রতিবেশীদের সাথে ক্ষুব্ধ হয়ে এ তারকাঁটার বেড়া দিয়ে আটকে দেয়ায় গামইরতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের এ রাস্তা দিয়ে এখন গ্রামবাসীদের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ফরিদা বেগম জানান, মানুষ চলাচলের কারনে আমার পুকুরের পাড় ভেঙ্গে পড়ায় কাটাতারের বেড়া দিয়েছি। ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিবেশীরা ট্রাক্টর চালায়। এতে রাস্তা আরও বেশি ভাঙ্গছে।

তবে সরকারি রাস্তায় তারকাঁটার বেড়া দিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমনেরা যহন কইছেন তহন দুই দিক দিয়া বেড়া নোয়াইয়া চ্যারা পিডাইয়া দিমু চলাচলের জন্য। তবে তারকাঁটার বেড়া খুলমু না।

নীলগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে রাস্তাটি উম্মুক্ত করে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান।

(এমকেআর/এসপি/অক্টোবর ২১, ২০১৭)