সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালকদের স্টাণ্ড দখল করিয়ে দিয়ে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ির কাছ থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে আদায়ের প্রতিবাদ করায় দু’চালককে হাত কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক বিএনপি শ্রমিক নেতা। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মোড় এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ি জানান, আশাশুনির দরগাহপুরের ইমান আলীর ছেলে রেজাউল ইসলাম বর্তমানে সবুজবাগের বাসিন্দা। ভ্যান- রিক্সা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ থাকাকালিন টাকা লুটপাটের জন্য বহুল আলোচিত হওয়ায় গত নির্বাচনে তিনি হেরে যান।

তার বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে ক্লিনিকে রোগী ভর্তির নামে দালালি, রক্ত বিক্রির নামে দালালিসহ হাসপাতাল এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের কাছ থেকে টাকা ধার দিয়ে চড়া সুদ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৩ সালের ২৮ ফেব্র“য়ারি পরবর্তী জেলা জুড়ে জামায়াত- বিএনপির নাশকতা কর্মকাণ্ডে রেজাউলের ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য। খুলনা রোডের মোড়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে ভাড়া দিয়ে জনৈক চা স্টল মালিক রেজাউল গাজীর কাছ থেকে প্রতিদিন ৭০ টাকা ভাড়া আদায় করে থাকেন। এতেও সন্তুষ্ট না হতে পেরে তিনি তার ভাড়া দেওয়া দোকানের পাশে প্রসাবখানার সামনে ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলের স্ট্যাণ্ডটি দখল করে তা অন্যের কাছে ভাড়া দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। চালকরা তাতে আপত্তি করায় তাদেরকে ইতিপূর্বে বহুবার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের করনিক আত্মীয় জাকির হোসেন দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।

ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালক সরোজিৎ রায় ও তরিকুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন ৫০ টাকা চাঁদা দেওয়ার শর্তে গত বুধবার এক পাথর ও আংটি বিক্রেতাকে তাদের স্ট্যাণ্ডে বসিয়ে দেন বিএনপি শ্রমিক নেতা রেজাউল। এ নিয়ে বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যাঢ প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে বচসার একপর্যায়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে একইভাবে তারা প্রতিবাদ করায় তাদের হাত কেটে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। প্রকাশ্যে এমন হুমকিতে সেখানে শতাধিক লোক জমায়েত হয়। এম্বুলেন্স চালক ছোট্টু প্রতিবাদ করায় তার উপরও চড়াও হন রেজাউল।একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে রেজাউল চলে যায়।

এ ব্যাপারে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রেজাউল ইসলামের ০১৯১৫-৯৫০২৬৮ নম্বর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


(আরকে/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০১৭)