ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধ : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ও গ্রামের দোকানপাট গুলোতে অবাধে বিক্রি হচ্ছে অনুমোদনহীন অস্বাস্থ্যকর বেকারীখাদ্য সামগ্রী। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় এসব নিন্মমানের খাবার খেয়ে ডায়রিয়া, আমাশয়, বমি সহ নানা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুসহ সব বয়সের মানুষ।

উপজেলার সদর, কমরপুর, ঢোলভাঙ্গা, মাঠেরবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এসব এলাকায় রয়েছে ১৫ টি ছোট-বড় বেকারী কারখানা। কারখানা গুলোতে তৈরি হচ্ছে অতি নিন্মমানের খাদ্য সামগ্রী। মাত্রাতিরিক্ত স্যাকারিন, রজন, সোহারা পাউডারসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মেশানো এসব খাবারের প্যাকেটে শিশুদের আর্কষনীয় করে তুলতে রং-বেরংয়ের ছবি দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় চায়ের দোকান ও মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে নিন্মমানের রুটি, কেক, মিষ্টি সিংঙ্গারা, টোষ্ট, চানাচুর ছাড়াও হরেক রকম খাদ্য সামগ্রী। কম দামের অস্বাস্থকর প্লাষ্টিক প্যাকেটে মোড়ানো এসব খাবার খেয়ে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।

বেকারীর এসব ভেজাল খাদ্য খেয়ে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে গত সপ্তাহে পলঅশবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে চিকিৎসা নিয়েছে, শহিদ (৫), রহিম (১২), রহমান (২৫), শাইরি (২) সহ অন্তত ৩০ শিশু। নোংড়া ও দুর্গন্ধময় পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে বেকারী খাবার।

কালিবাড়ি বাজারে মুদি দোকানি আসাদ, মাঠেরবাজারে মুদি দোকানি ছেলিম মিয়া, ঢোলভাঙ্গা মুদি দোকানি সুমন ও নয়াবাজারে মুদি দোকানি রানার সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমে এসব খাদ্য পণ্য তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধেই দিয়ে যায় বেকারীর লোকজন। দু একদিন পরে বিক্রি হলে টাকা নিয়ে যায়।

দোকানীরা জানান, এসব খাদ্য খাবারের উপযোগী না হলেও ভাল মানের বেকারীর খাদ্য না পাওয়ায় এবং বেকারীর লোকদের নানা ফাঁদে পড়ে এসব বিক্রি করছি। শিমুলতলঅ গ্রামের সুমন বলেন, এলাকার সব দোকানেই এসব নি¤œ মানের বেকারীর পন্য।

কালিবাড়িএলাকার বেকারীর মালিক ও কালিবাড়ি বাজার কমিটির সভাপতি গোলাম আজম জানান, আমার বেকারীতে সকল খাদ্য সামগ্রী মান সম্মত।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, ইতি পূর্বে মাঝে মধ্যেই মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছিল।

সরকারি বাঁধা থাকায় বর্তমানে করা হচ্ছে না। উপজেলা সেনেটারী কর্মকর্তা জানান, মাঝে মধ্যেই ভেজাল বেকারির খাদ্য বিষয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।


(এসআইআর/এসপি/নভেম্বর ১১, ২০১৭)