সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : যৌতুকের দাবিতে  স্ত্রীকে নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহেনূর জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামীর নাম মো. ছিদ্দিক গাজী (৩৯)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা গ্রামের অহেদ আলী গাজীর ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পদ্মশাঁখরা গ্রামের অহেদ আলী গাজীর ছেলে ছিদ্দিক গাজীর সঙ্গে একই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে রিতা সুলতানার(১৮) বিয়ে হয়। তাদের বর্তমানে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে রিতাকে নির্যাতন করতো তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ২০০৬ সালের

২৭ এপ্রিল বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের ৫০ হাজার টাকা আনার জন্য বলে তার স্বামী ছিদ্দিক গাজী। গরীব বাবার কাছে টাকা নেই ও যেতে অপারগতা প্রকাশ করায় ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তাকে কয়েক দফা মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা আরশাদ আলী গাজী বাদি হয়ে জামাতা ছিদ্দিক গাজী, তার বাবা অহেদ আলী, মা মর্জিনা খাতুন ও জামাতার ভাই খোকন গাজীর নাম উল্লেখ করে পরদিন সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সাতক্ষীরা সদর থানার উপপরিদর্শক বাবুল আক্তার ছিদ্দিক গাজীর নামে ২০০৬ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার নথি ও ১০জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা করে আসামী ছিদ্দিক গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার বিচারক তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃতুদন্ড কার্যকর করার আদেশ দেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুল খালেক। রাষ্ট্রপক্ষের মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. ফরিদা আক্তার বানু।

(আরকে/জেএ/জুলাই ০২, ২০১৪)