ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : শীতের আমেজ বইছে ঠাকুরগাঁও সহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায়।অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে টানা দুইদিনের বর্ষণের পর কয়েকদিন রোদ ওঠেনি বললেই চলে।ফলে নামতে শুরু করে শীত। নভেম্বর মাস শেষ না হতেই ইতিমধ্যে শীতের আমেজ লেগেছে ঠাকুরগাঁওয়ে।

শীতের প্রভাব খুব একটা বেশি না। মধ্যদুপুরে এক-আধটু রোদ উঠলেও তার স্থায়িত্ব বেশিক্ষণ হচ্ছেনা। আর সন্ধ্যা হলেই শীত যেন গাঁ ছুঁয়ে যায়।

মহল্লার মোড় থেকে শুরু করে শহরের বেশ কিছু জায়গায় গড়ে উঠেছে শীতের পিঠা ভাপা, পুলি, তেলপিঠার দোকান।

এদিকে খুলনা থেকে আসা এক ট্রাকচালক গাড়ি নিয়ে এসে বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে এসে একেবারে অপ্রস্তুত হয়ে গেছি।হঠাৎ করেই এসে দেখি ঠান্ডা। যার ফলে একটু অসুবিধা তো হচ্ছেই।

সাংবাদিক রবিউল আহসিন রিপন বলেন, দিনের বেলা মোটা কাপড় আর সন্ধ্যার পর ভারী কাপড় ছাড়া বাইক চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঠাকুরগাঁওয়ের যে কোন উঁচু বিল্ডিং অথবা খোলা জায়গা থেকে দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া।

অতীতের যেকোন বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি স্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে এই চূড়া। খোলা চোখে বাইনোকুলারইনোকুলার ছাড়া দেখা সম্ভব হচ্ছে, আর এই দৃশ্য ধারণ করতে কোন ডি,এস,এল,আর ক্যামেরার প্রয়োজন পড়ছে না। যেকোন এন্ড্রুয়েট ডিভাইসেই ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে এই দৃশ্য।

এদিকে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলা সর্বচ্চ ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর রাতের বেলা সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা না থাকায় এবারের আবহাওয়া কৃষির জন্য অনুকূল। যদিও ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে ঘন কুয়াশা থাকলে আলুর জন্য ব্লাইট আর সরিষার জন্য অল্টারনেরিয়া রোগের ঝুঁকি থাকবে।তবে কৃষক এখন অনেক বেশী সচেতন।

(এফআইআর/এসপি/নভেম্বর ১৯, ২০১৭)