গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ কাটার হিরিক চলছে। উপজেলার চকরহিমাপুরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের প্রায় ৩ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কাটা হচ্ছে। এর আগে ফুলবাড়ি ইউনিয়নেও গাছ কাটা হয়েছে। টেন্ডার ছাড়াই নামমাত্র মূল্যে সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এই সব গাছ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।

এ বছর আগস্টের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার অর্ধেকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। দীর্ঘদিন বাঁধগুলো মেরামত না করায় দুর্বল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গেই বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। দফায় দফায় বন্যায় প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার ক্ষতি হয় এ উপজেলায়।

উপজেলার অধিকাংশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অবস্থা হুমকীর সম্মুখিন। বাঁধ রক্ষায় সেনাবাহিনী পর্যন্ত মোতায়ন করা হয়েছিলো। তবু উপজেলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গে বির্স্তৃন এলাকা প্লাবিত হয়। সাপমারা ইউনিয়নের তরফমনু এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ আগেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

তরফমনুর পাশেই চকরহিমাপুরে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে গাছ থাকায় বন্যায় তখন বাঁধ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। অনেকাংশে গাছই রক্ষা করেছে এই বাঁধ। বর্তমানে এই বাঁধের গাছ বিক্রি করায় আগামী বছর করতোয়া নদীর পানির চাপে চকরহিমাপুর এলাকার বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে চকরহিমাপুর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাছ বিক্রির সিন্ধান্ত হলেও উপযুক্ত দর না পাওয়ায় গাছ বিক্রি করা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে কোন দরপত্র আহবান ছাড়াই প্রায় অর্ধকোটি টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নামমাত্র মূল্যে বিক্রি করা হয়েছে ।

এই বনায়ন প্রকল্পের সভাপতি আজমল হোসেন জানান, গাছ কত টাকায়, কিভাবে বিক্রি হয়েছে তাও আমি জানি না। গাছগুলো কাটতেও আমাকে কেউ কিছু বলেনি।

এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীলাব্রত কর্মকার জানান, বিষয়টি তাঁর জানা নাই। তিনি আরো বলেন, খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)