মির্জাগঞ্জে সংস্কারের অভাবে কাঁদা মারিয়ে স্কুলে যাই দুই শতাধিক শিক্ষার্থী
উত্তম গোলদার, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ঝাটিবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও এনডাব্লিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এইচআরডি রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে দুইশতাধীক শিক্ষার্থীরা কাঁদা মারিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বর্ষার সময়ে এভাবেই হাটু সমান কাঁদা মারিয়ে শিশু থেকে শুরু করে আবাল,বৃদ্ধ-বনিতা, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজার, জেলা,উপজেলা শহরসহ ও বিভাগ এমনকি রাজধানীতে যাতায়াত করায় রাস্তাটি হোয়াংহো নামে পরিচিতি হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নস্থ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের লোকজনসহ এলাকার প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার লোক প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। রাস্তাটি ডানিডা প্রকল্পের আওতায় তালিকাভুক্তি হলেও আজ পর্যন্ত এর সংস্কার কিংবা মেরামত কাজ শুরু না হওয়ার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই রাস্তার পাশে ঝাটিবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ও এনডাব্লিউ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুইশতাধীক শিক্ষার্থীরা চটি হাতে নিয়ে ড্রেস উঁচিয়ে কাঁদা মারিয়ে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্ষার সময়ে বিদ্যালয়ে আসা যায় না। আবার বিদ্যালয়ে আসলেও একটি জামা পড়ে আসতে হয় এবং অন্য একটি জামা স্কুল ব্যাগে করে নিয়ে আসতে হচ্ছে। বর্তমানে কাদাঁ মাটি একটু শুকালেও চলাচল করতে কষ্টা হচ্ছে। তবে শিশু শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচল করতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বেশি। এলাকার লোকজন এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন রাস্তাটি সংষ্কারের চেষ্টা করছেন।
এ ব্যাপারে ঝাটিবুনিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বালিকা বিদ্যালয়টির সকল শিক্ষক “শিক্ষক বাতায়ন” ও শিক্ষার্থীরাও কিশোর বাতায়নের সদস্য। যা উপজেলায় প্রথম বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রতিষ্ঠিত ল্যাবে নিয়মিত মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাস পরিচালিত হয়ে আসছে।
রাস্তাটির সংষ্কারের উপর এলাকার উন্নয়ন এবং অত্র দুটি বিদ্যালয়ের উন্নতি নির্ভর করছে। রাস্তাটির বর্ষার মৌসুমসহ বর্তমানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে দারুন অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এমনকি অবিভাবকরাও ভয়ে থাকনে কোন সময়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটে এবং এ কারনে তাদের সন্তানকে এই দুটি বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে চান না। ফলে প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীর সংখ্যাও আশংকাজনক কম।
এলাকাটির উন্নয়নের পাশাপাশি দুটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি বিবেচনা করে রাস্তাটি (মাত্র ২.১ কিলোমিটার)সংষ্কার করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকার সর্বমহলের দাবী জানিয়েছেন।
আমড়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সুলতান আহম্মদ বলেন, এ রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ন এবং প্রতিষ্ঠান দুটির ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল হিমসিম খেতে হচ্ছে। তবে আগামী অর্থ বছরে ফেব্রুয়ারির মধ্যে রাস্তাটির কাজ শুরু করা হবে।
(ইউজি/এসপি/ডিসেম্বর ০১, ২০১৭)