খুরশিদ আলম শাওন, রানীশংকৈল : ৯ মাস পাক সেনাদের সাথে যুদ্ব করে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ২ লক্ষ ৬৯ জাহারের অধিক মা বোনের ইজ্বত হারিয়ে। দেশ স্বাধীন করে বাঙ্গালি জাতি ১৬ ডিসেম্বরে যে পতাকাটি স্বাধীন বাংলাদেশ উড়িয়েছিলো সে আমাদের লাল সবুজের জাতীয় পতাকা।

এ জাতীয় পতাকা অর্জনে আমাদের বহু লড়াই সংগ্রাম করতে হয়েছে, দিতে হয়েছে তাজা প্রাণ। তাই আমরা বাঙ্গালীরা পতাকার প্রতি কখনোই অসন্মান করি না বা করতে পারি না। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রাষ্ট্র জাতীয় পতাকা ব্যবহারের কিছু নিদিষ্ট নীতিমালা দিয়েছে,যে নীতিমালায় উল্লেখ্য করা হয়েছে।

সাধারণত জাতীয় পতাকা যে কোন সরকারী বেসরকারী স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মদিবসের সময় যথানিয়মে টাঙ্গাতে হবে। এবং সরকারীভাবে কর্মদিবসের শুরুতে টাঙ্গিয়ে সূর্য ডুবার আগ মূহর্তে শ্রদ্বার সাথে নামিয়ে নিতে হবে। এ সময়ের বাইরে কোন ভাবেই আর রাখা যাবে না। রাখলে জেল, জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। অথচ সেই ডিসেম্বর মাসে ঠাকুরগায়ের রানীশংকৈল উপজেলা ভুমি অফিসে দিন রাত উড়ছে জাতীয় পতাকা।

গতকাল শুক্রবার (১ডিসেম্বর) সন্ধায় সরজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। উপজেলা ভুমি অফিসের ভবনের ছাদে ছোট একটি বাঁশে কোন রকম জাতীয় পতাকাটি টাঙ্গানো রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার অফিস শেষে টাঙ্গানো জাতীয় পতাকাটি আর নামানো হয় নি। এ কারনেই বৃহস্পতিবার রাত পরের দিন শুক্রবার অফিস বন্ধ থাকায় দিন রাত ব্যাপী জাতীয় পতাকা উড়ছিল।

শুক্রবার এ প্রতিবেদক ভুমি অফিসের পাশের পথ দিয়ে যাওয়ার সময় মানুষের আনাগোনায় বিষয়টি চোখে পড়ে । রাতে একটি সরকারী অফিসে জাতীয় পতাকা উড়ছে দেখে তাৎক্ষনিক ক্যামেরা বন্দি করে। পরে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে। চরম সমালোচনার মধ্যে শুক্রবার রাত প্রায় ১০টার দিকে টনক নড়ে ভুমি অফিস কতৃপক্ষের। তড়িৎ গতিতে জাতীয় পতাকা নামানো হয়।

পতাকা নামানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা ভুমি অফিসের প্রধান সহকারী আসাদুজ্জামান খোকন।
উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে দিনরাত একটি সরকারী অফিসে জাতীয় পতাকা উড়ানোর বিষয়টি নিয়ে।

এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সোহাগ চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।

(কেএএস/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০১৭)