গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে রুবেল ও খুশু নামের পলাতক দুই আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার এবং পাঁচ ধর্ষকদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলটি নলডাঙ্গার খামার দশলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে তিনমাথা মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

বিক্ষোভ মিছিলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও অভিভাবক ছাড়াও এলাকার বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ অংশ নেন।সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘শান্তিপ্রিয় নলডাঙ্গায় এমন ধর্ষণের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। পাঁচ নরপশু এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এদের মধ্যে এলাকাবাসী তিন জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হলেও পালিয়ে যাওয়া বাকি দুই আসামি রুবেল ও খুশুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।’ দ্রুত ওই দুই আসামিকে গ্রেফতার ও ধর্ষকদের সর্ব্বোচ শাস্তির দাবি জানোনো হয়েছে সমাবেশ থেকে। আসামি গ্রেফতার না হওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে মায়ের সঙ্গে নলডাঙ্গা বাজার থেকে কাপড় কিনে পায়ে হেঁটে একাই বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্রী। পথে সরকারি খাদ্য গুদাম এলাকায় পৌঁছালে তাকে আটকায় নলডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক দুদু মিয়ার ছেলে সোহাগ (২২)। এসময় সোহাগের সঙ্গে ছিল শরিফুল ইসলাম (২২), বাবু মিয়া (২১), রুবেল ও খুশু নামের আরও চার জন। তারা ওড়না দিয়ে ওই ছাত্রীকে মুখ বেঁধে নিয়ে যায়। ধর্ষণের সময় ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে শরিফুল ও বাবুকে হাতেনাতে এবং পরে রেল গেটের দোকান থেকে সোহাগকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন স্থানীয়রা।

ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে শুক্রবার (২২ ডিসম্বর) রাত দেড়টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাদুল্যাপুর থানায় একটি মামলা করেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে গাইবান্ধা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় গ্রেফতার তিন আসামি।

(এসআইআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭)