স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধুর খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ডালিমকে অর্থ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম মোরশেদ খান এবং তার ছেলে ফয়সল মোরশেদ খানের বিরুদ্ধে। 

দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ— বিদেশে অর্থপাচার, বিএনপিকে অর্থযোগান এবং ডালিমের মেয়ের কাছ থেকে বাড়তি দরে জমি কেনার নামে বঙ্গবন্ধুর ওই বিদেশে পলাতক খুনির কাছে অর্থ সরবরাহের অপরাধ ঢাকতেই দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক ‘এবি ব্যাংকে’ অস্থিরতা তৈরি এবং প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হককে সম্প্রতি অপসারণে কলকাঠি নেড়েছেন তারা।

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমনে ব্যাপক অভিযান শুরু হলে বিভিন্ন অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যান এবি ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ফয়সল। সেসময় মোরশেদ খানদের ডেউন্ডি ও নয়াপাড়ার চা বাগানে কর্মরত ছিলেন ওয়াহিদুল হক। এই বিশ্বস্ত ওয়াহিদুল হককে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরও। কিন্তু এবি ব্যাংকে অস্থিরতা তৈরির প্রেক্ষাপটে গত ২১ ডিসেম্বর ফয়সলের ৩৫ বছরের এ বিশ্বস্ত হাতকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হয়।

জানা যায়, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার চলাকালে খুনিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। তখন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ডালিমের মেয়ে স্বস্তি হকের কাছ থেকে রাজধানীর ৭১৯ সাতমসজিদ রোডের একটি বাড়ি বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি দামে কিনে নেয় এবি ব্যাংক। ট্রেনিং একাডেমির নামে এই জমি কেনার ক্ষেত্রে ফয়সল বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ওই অতিরিক্ত অর্থ মেয়ের মাধ্যমে খুনি ডালিমের কাছে পৌঁছানো হয়।

বিএনপিকে অর্থ জোগান দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে মোরশেদ খানের ছেলের প্রতিষ্ঠিত ব্যাংকটির বিরুদ্ধে। জানা যায়, চট্টগ্রামের জাহাজ ব্যবসায়ী মাহিন লস্করের প্রতিষ্ঠান মাহিন এন্টারপ্রাইজকে প্রভাব খাটিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় এবি ব্যাংক থেকে। কিন্তু এ ঋণের সিংহভাগই বিদেশে পাচার হয় বলে তথ্য রয়েছে। ঋণগ্রহীতা এই মাহিন চট্টগ্রাম বিএনপির অর্থ যোগানদাতা বলে পরিচিত। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৭, ২০১৮)