সুইস ব্যাংকে চিঠি পাঠানো লোক দেখানো: রফিকুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার : সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশের চিঠি পাঠানোকে লোক দেখানো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদ আয়োজিত সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের নতুন অপচেষ্টার প্রতিবাদে মানবাধিকারকর্মী সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ যাতে কথা বলতে না পারে, সে জন্য পত্রিকার কণ্ঠরোধ করার জন্য কালো আইন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কালো আইন করে চারটি পত্রিকা রেখে বাকি পত্রিকা বন্ধ করে দিয়ে বাকশাল কায়েম করেছিল। শেখ হাসিনা আবার তার পিতার কালো আইন পুনরুজ্জীবিত করছেন। আওয়ামী লীগের অতীত ইতিহাস হলো ভিন্নমতকে সহ্য করতে না পারা। আওয়ামী লীগ সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই নিজেদের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে যাতে কেউ কথা বলতে না পারে সে জন্য পত্রিকার কণ্ঠরোধ করেছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘কোনো সরকারই স্থায়ী সরকার নয়, এই সরকারের অবস্থা হবে স্বৈরাচারী সরকার আলেকজান্ডারের মতো।’
বর্তমান সরকারকে স্বৈরাচারী ও বাকশালী সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিশ্বে কোথাও এমন নজির নেই যে, সংসদে একটি দলের প্রধান আরেকটি দলের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এবং তার স্ত্রী সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা। এটা সম্পূর্ণ সংবিধান পরিপন্থী।’
এরশাদের ভাই জি এম কাদের তাদের অবস্থান নিয়ে সত্য কথাই বলছেন বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার রফিক বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, কালশীর হত্যাকাণ্ড ও সরকারের দুর্নীতির খবর পত্রিকার মাধ্যমে বের হয়েছে। আর যেন সরকারের কোনো দুর্নীতির খবর বের না হতে পারে সেজন্যই সরকার কালো আইন করছে।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভয় পেলে চলবে না। বৃহত্তম আন্দোলন করতে হবে। ঈদের পরে বেগম জিয়া যে আন্দোলনে ডাক দেবেন সে আন্দোলনে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে যোগ দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটাতে হবে। অন্যথায় দেশ ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।’
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রফিকুল ইসলাম মিয়ার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) মো. হানিফ প্রমুখ।
(ওএস/এটিআর/জুলাই ০৪, ২০১৪)