মাহমুদুল হক মানিক, দিনাজপুর : দীর্ঘ ৯ বছর পর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বিরামপুর পৌর শাখার কাউন্সিল ৩য় দফা তারিখ পিছানোর পর আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

আদৌও ২ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে কি না এই নিয়ে চলছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে নানা গুঞ্জন। কারণ হিসেবে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে ৩য় দফায় তারিখ পিছানোর পর পৌর বিএনপি’র কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ হয়।

পৌর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক মেয়র আজাদুল ইসলাম আজাদ ইতিমধ্যে তিনি ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করেছেন দলের সিনিয়র নেতা শহিদুল ইসলাম আলো এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোঃ শফিকুল আলম মামুন বিদেশ সফর থাকায় তিনিও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করেছেন ১ম যুগ্ম সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসানের নিকট।

জেলা কমিটি, বিরামপুর পৌর বি.এন.পি’র কমিটি ভেঙ্গে বা আহবায়ক কমিটি করেন নি। ৯টি ওয়ার্ডে ৭২০ জন ভোটার ভোটের মাধ্যমে আগামী নির্বাচনে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট প্রদান করবেন।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন সাবেক মেয়র আজাদুল ইসলাম আজাদ প্রতীক- তালা মার্কা। নতুন মুখ হিসেবে ইতিমধ্যেই নেতা-কর্মীদের মাঝে বেশ জনপ্রিয় লাভ করেছেন হুমায়ন কবির প্রতীক- হরিণ মার্কা।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন রেজাউল করিম রেজু প্রতীক- আনারস মার্কা, মহসিন আলী রাজু প্রতীক- চশমা মার্কা ও থানা বিএনপি’র বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড একেএম মঞ্জির রশিদ
রতন প্রতীক- ফুটবল মার্কা।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাই প্রতীক- দোয়াত কলম, ছাত্রদলের নেতা বাবুল ইসলাম বাবলু প্রতীক- টিউবওয়েল মার্কা ও যুবদলের মোস্তাফিজুর রহমান নয়ন প্রতীক- ভ্যানগাড়ী মার্কায় প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

আগামীকাল সোমবার ভোর থেকেই মাঘ মাসের কনকনে শীতে প্রতিটি প্রার্থী সঙ্গিয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছুটে চলেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পাড়া মহল্লায়, চায়ের দোকানে চলছে পৌর কাউন্সিলের প্রার্থীদের নিয়ে হিসাব নিকাশ। এই কাউন্সিলই আগামী পৌরসভার সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রভাব ফেলবে।

বিরামপুর একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। বিরামপুর রাজনীতির মেরুকরণে পৌর মেয়র নির্বাচিত হন কখনও বি.এন.পি কখনও আওয়ামীলীগের ঘর থেকে। বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা চায় পৌর কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী দিনে বিরামপুর পৌর পিতার আসনে বি.এন.পি’র প্রার্থীকে বসাতে।

গতকাল রাতে দলীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের সময় নির্বাচন কমিশনার সাইদুর রহমান ও কামাল সওদাগরের সাথে কথা বললে তারা জানান, আমরা শতভাগ আশা করছি আগামী ২ ফেব্রুয়ারি সুষ্ঠ পরিবেশে ৯টি ওয়ার্ডে কর্মীরা ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করবেন।

বিরামপুর পৌর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম আলো ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান বলেন, কাউন্সিলকে ঘিরে দলীয় কার্যালয় বেশ সরগোম। তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে নির্বাচনি ইমেজ বিরাজ করছে। নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের রাজনীতিতে বিরামপুর পৌর বি.এন.পি’র রাজনীতি আরও বেগবান হবে বলে আমার বিশ্বাস।

(এমএইচ/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০১৮)