দিনাজপুর প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শান্তিপূর্ণভাবে গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল শাখার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধাঁর সম্মুখিন হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মীদেরকে। কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের ছবি তোলা যায়নি।

এক কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবের (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) নির্দেশে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি গণমাধ্যমকর্মীদেরকে। অপর আরেক কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হলেও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শনসহ পরীক্ষার্থীদের ছবি তুলতে দেননি কেন্দ্র সচিব। তবে সাড়ে ৯টার পরও বেশ কিছু পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ ও পরীক্ষা দেওয়া সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরীক্ষা সংবাদ সংগ্রহের জন্য দৈনিক আমাদের সময় প্রতিনিধি ওয়াহিদুল ইসলাম ডিফেন্স ও সাপ্তাহিক দেশ মা’র স্টাফ রিপোর্টার প্লাবন শুভ সকাল ১১টায় সুজাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান। সেখানে তাদেরকে কেন্দ্র সচিব (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) সঞ্জয় চক্রবর্তী তার কক্ষে বসেই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির তথ্য দিলেও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন ও পরীক্ষার্থীদের ছবি তুলতে দেননি।

বেলা সাড়ে ১১টায় ওই দুই সাংবাদিক জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন সাংবাদিককে ঢুকতে দেওয়া হবে না কেন্দ্র সচিব তোজাম্মেল হকের এমন নির্দেশনামা জানিয়ে ফিরিয়ে দেন কর্তব্যরত দপ্তরী আব্দুল আলিম।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি এসএসসি পরীক্ষায় ১হাজার ২০২জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত রয়েছেন ২জন এবং আলিম পরীক্ষায় ৩১৪জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ৫জন।
এরমধ্যে সুজাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫০৪জনের মধ্যে অনুপস্থিত ১জন, জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৪৩৭জন এবং দাদুল চোকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২৬১জনের মধ্যে অনুপস্থিত ১জন রয়েছে। একই ভাবে দারুস সুন্নাহ সিদ্দিকীয় মাদ্রাসা কেন্দ্রে আলিম পরীক্ষায় ৩১৪জনের মধ্যে অনুপস্থিত ৫জন রয়েছে।

সুজাপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সাংবাদিকদেরকে পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন ও ছবি তুলতে দেওয়া হয়নি। পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শন ও ছবি তুলতে হলে জেলা প্রশাসকের লিখিত অনুমতি নিয়ে আসতে হবে।

সাংবাদিকদেরকে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার বিষয়ে জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মো. তোজাম্মেল হক বলেন, ডিসি’র লিখিত অনুমতি না থাকায় সাংবাদিকদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সাড়ে ৯টার পরও পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ ও পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ডিসি স্যার বলেছেন, প্রথমদিন দেরীতে আসলেও পরীক্ষা নিতে। এ কারণে কিছু পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে পেশাগত দায়িত্ব পালনে গণমাধ্যমকর্মীরা যাতে বাঁধাগ্রস্ত না হন সে বিষয়ে কেন্দ্র সচিবদের নিয়ে বৈঠক করে সুরাহা করা হবে।

(এসিজি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮)