পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার ধাপেরহাটে বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ১ জোড় প্রেমিক প্রেমিকার মাঝে চলছিলো ঘাত প্রতিঘাতের খেলা। এ দিকজন প্রেমিকা অবশেষে বিয়ের দাবিতে অনশন করে বসে থাকে টানা ২ দিন প্রেমিকের বাড়ীর উঠানে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট সাদী পাড়া গ্রামের আলম মিয়ার কন্যা তানিয়া আক্তার বিয়ের দাবিতে একই গ্রামের মৃত্যু ফরমান আলীর পুত্র দুলু মিয়ার বাড়ীতে ১৪ই ফেব্রয়ারি ভালাবাসা দিবসের রাতে প্রতারক প্রেমিকের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।

টানা দু দিন অনশনরত অবস্থায় তৃতীয় দিনে তানিয়া আক্তার কে উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। এরপরেই টনক নড়ে প্রেমিক দুলু ও তার পরিবারের। ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হতে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দু ও সচেতন সাংবাদিক মহলের উপস্থিতিতে উভয় পরিবারের মাঝে আলোচনা শেষে এ প্রেমিক প্রেমিকা জুটির বিয়ে হয়।

অনশন সময়ে তানিয়া জানান, ভালবাসার রাতকে স্মরনীয় করে রাখতে ঐ দিন রাত ১টার দিকে তানিয়াকে দুলু মিয়া মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে বাড়ীর পাশ্বের একটি বাঁশ ঝাড়ে অবৈধ্য সময় কাটায়। এরপর তানিয়া দুলুকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে তানবাহানা করে অবশেষে রাতেই নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়। তানিয়াকে গেটের বাহিরে রেখে দুলু মিয়া বাড়ীর মেইন গেটের দরজা লাগিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রেমিক দুলু ফিরে আসবে আসবে এই আশায় ভালবাসা দিবসের সমস্ত রাতটাই দরজার বাহিরে দাড়িয়ে থাকে। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঐ গেটের বাহিরে দাড়িয়ে থাকেছে। এসময় কাল প্রেমিক দুলু পলাতক ছিলো ।

তানিয়া তার ভালোবাসাকে চিরস্থায়ী করতে বিয়ের দাবিতে অনশনে নেমেছিলো এক জীবন যুদ্ধে । সে তার দাবি আদায় করে নিয়েছে স্থানীয় সংবাদিকদের সহযোগীতায়। ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দেন মোহরানা ধার্য করে প্রেমিক দুলু ও প্রেমিকা তানিয়ার বিয়ে সম্পন্ন হয়।

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)