ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হাসপাতালটিতে উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের রোগীদের জন্য একটি মাত্র সরকারি এ্যাম্বুলেন্স। পলাশবাড়ী হতে রংপুর প্রতিজন রোগীকে বহনে নেওয়া হয় ১৩ শত টাকা বা দুরত্ব ভেদে ভাড়া। 

গত ১১ বছর আগে এ্যাম্বুলেন্সটি এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দেওয়া হয়। এ এ্যাম্বুলেন্সটি অনেক যন্ত্রাংশের ক্ষয় ধরেছে। একেক সময় একেকটা যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে পথে পথে রোগীদের নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয়। ঠিক মত রোগীকে উন্নত চিকিৎসালয়ে নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় অনেক রোগীকে প্রান দিতে হয় রাস্তায় এ্যাম্বুলেন্সে ভিতরে। চালককে পড়তে হয় রোগীর স্বজনদের রোশানলে।

এ্যাম্বুলেন্স খোজ নিয়ে দেখা যায় এ্যাম্বুলেন্সটি সামনের দুটি লাইট নষ্ট। লাইট বিহীন গাড়ী রাতের বেলায় রাস্তায় চালানো সম্ভব নয়। তাই রাতে রোগী মারা গেলেও কিছুই করার নেই।

এ বিষয়ে এ্যাম্বুলেন্স চালক আবুল কালাম জানান, এ্যাম্বুলেন্স হিসাবে ব্যবহারকৃত গাড়ীটির বয়স হয়ে গেছে। যন্ত্রাংশ গুলো ক্ষয় ধরেছে। যখন তখন যেখানে সেখানে নষ্ট হয়। রোগী নিয়ে বিপাকে পরতে হয়। অনেকেই চোখের সামনে মরে যায়। গাড়ীটির পরিবর্তন বা বড় ধরণে সার্ভিসিং প্রয়োজন।

গত বছরের এ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহত তেলের বিল হয়েছে প্রায় ৫ লাখের অধিক টাকা। এ টাকা পরিষদে দেরি হওয়ায় তেল দিতে অপারগতা প্রকাশ করছে প্রতিষ্ঠান গুলো।

অত্র উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডাঃ ওয়াজেদ হোসেন জানান,এ্যাম্বুলেন্সটি ত্রুর্টিপূর্ণ বিধায় সংকট সৃর্ষ্টি হয়েছে দীর্ঘদিন পরিবর্তন করা প্রয়োজন। সার্ভিসিং বাবদ বড় জোড় বছরে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করা যাবে। তাতে এটা পুরোপুরি সার্ভিসিং করা সম্ভব না হওয়া রোগীদের নিয়ে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।

তেলের বিল গুলো সাধারণত দেরীতে ছাড় দেওয়া হয়। মুলত তেল সমস্যা নয় এ্যাম্বুলেন্সটির বিশাল সমস্যা। আরো একাধিক এ্যাম্বুলেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আবেদন করা সহ স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্যদ্বয়ের নিকট একাধিকবার প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, উপজেলার ও আশ পাশে উপজেলার চিকিৎসা গ্রহণ করে প্রায় ৬ লক্ষ্য মানুষের জন্য একটি মাত্র সরকারি এ্যাম্বুলেন্স। সে এ্যাম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রুর্টিপূর্ণ যখন তখন নষ্ট হয়। একারণে রোগীদের নিয়ে জনদুর্ভোগে চিকিৎসক, রোগী, স্বজন, কর্মকর্তা, কর্মচারিরা।


(এসআইআর/এসপি/মার্চ ১০, ২০১৮)