নিউজ ডেস্ক : বর্ষাকালে ঝুম বৃষ্টিতে ভেজার মজাই আলাদা। কিন্তু মজাটা মাটি হয় তখনই, যখন বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকা নোংরা পানি পায়ে লেগে যায়। কারণ এই পানি পায়ের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে পা ভিজলে ফুসকুড়ি, চুলকানির মতো নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। তাই এ সময় পায়ের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

বর্ষায় শহরের রাস্তায় জমে থাকা পানির সঙ্গে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ মিশে যায়। এ সময় নানা ধরনের রোগ হওয়ার সম্ভবনাও তাই অনেক বেশি। বাইরে থেকে ফিরেই পা দুটোকে যতটা সম্ভব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

বৃষ্টির নোংরা পানিতে ভেজার পরও সুস্থ ও সুন্দর পায়ের যত্নে করণীয়:
১. বাইরে থেকে এসেই পা পরিষ্কার করুন। গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করলে ভালো ভল পাওয়া যায়।

২. বাইরে থেকে এসে জীবাণুনাশক দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।

৩. তোয়ালে দিয়ে পা মুছে ফেলুন।

৪. এরপর ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে ম্যাসেজ করুন।

৫. সপ্তাহে অন্তত একবার গরম পানিতে শ্যাম্পু দিয়ে পা ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন।

৬. পায়ে জমে থাকা ময়লা পরিস্কার করে মুলতানি মাটি ও মধুর প্যাক লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

৭. ফ্যাশন –সচেতন অনেকেই আজকাল নখ রাখেন। তবে বর্ষায় নখ ছোট রাখাই ভালো। আর বড় নখ রাখলে তা ব্রাশ দিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

৮. পরনের জুতো অবশ্যই পরিষ্কার রাখবেন। তবে পরবর্তীতে পায়ে পরার আগে জুতো জোড়া পর্যাপ্ত বাতাসে শুকিয়ে নিবেন।

৯. যারা অফিস করেন তারা একজোড়া এক্সট্রা জুতো ও মোজা রাখার চেষ্টা করবেন। যাতে একজোড়া ভিজে গেলেও কোনো সমস্যা না হয়।

১০. যাদের খুব তাড়াতাড়ি পায়ে ইনফেকশন দেখা দেয় তারা মোজা বা জুতো পরার আগে ফাঙ্গাস রোধক পাউডার দিয়ে নিতে পারেন।

পায়ের যত্নে যা করবেন না:
বর্ষায় কাদা-পানিতে কম হাঁটাচলা করাই ভালো। আর কাদা লেগে গেলেও তা দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। যদি কোনো রকম জীবাণু-সংক্রমণ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

বর্ষার জুতা:
বর্ষায় জুতা নির্বাচন একটা বড় ঝামেলা। সেক্ষেত্রে খোলামেলা স্যান্ডেল পরাই ভালো। কারণ এগুলো ময়লা হলেও সহজে ধুয়ে ফেলা যায়।

একটুখানি সতর্ক হয়ে চললে বর্ষায়ও পা দুখানি থাকবে ফিটফাট। তাই কষ্ট করে হলেও পায়ের জন্য কিছুটা সময় ব্যয় ব্যয় করুন। দেখবেন, কয়েকদিন পর আপনার কষ্টটা সার্থক হবে। বর্ষায় নিয়মিত পায়ের যত্ন নিন, রোগের হাত থেকে বাঁচুন।

(ওএস/এস/জুলাই ০৮, ২০১৪)