গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার সদরে পলাশবাড়ী এম এ সামাদ কারীগরি বিজ্ঞান ও কলেজে দীর্ঘদিন হয় অধ্যক্ষের পদ নিয়ে জটিলতা কাটানোর পরেও চলছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি ব্যাপকভাবে দুর্ভোগে পড়েছে। 

রেজিস্ট্রেশন করানো কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। অধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন কারী দু জনের দুই দিকে টানাটানি শুরু হয়েছে এ টানাটানির মূলে প্রতিষ্ঠাতা নিজেই। গত দু দিন ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে অবৈধ ঘোষণা করে তার কাছে রেজিস্ট্রেশনকৃত শিক্ষার্থীদের সতর্কবানী প্রচার করে।

গত ১৮ মার্চ পলাশবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের স্মারক নং ০৫.৫৫.৩২৬৭.০০০.১৫.০০২.১৮-২৩১(২) পত্রে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং ২৪৭৫/২০১৮ এর গত ৪ মার্চ ২০১৮ আদেশ মুলে পলাশবাড়ী কারিগরি বিজ্ঞান ও কলেজে ২০১৮ সনে এইচ এস সি বিএম শাখা, একাদশ দ্বাদশ শ্রেনীর বোর্ড সমাপনি ফরম পূরুনে নিমিত্তে পাসওয়ার্ড সংগ্রহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ হোসেন স্বাক্ষরিত এ পত্রটি ডাকযোগে রেজিস্ট্রি করে প্রেরণ করে ।

রেজিস্ট্রিকৃত পত্রটি অধ্যক্ষের বদলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আরা র নিকট বিলি করে পোষ্টম্যান এসময় গ্রহনকালিন সময়ে নিজের সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করে পত্রটি গ্রহন করে। এরপর অধ্যক্ষ পত্রটির দাবী করলে বিপাকে পরে পোষ্টমাষ্টার শহিদুল ইসলাম ও পোষ্টম্যান মশিউর রহমান। পরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জেসমিন আরার নিকট পোষ্ট অফিসের কর্মকর্তারা পত্রটি ফেরত নিতে গেলে জেসমিন আরা ফেরত প্রদানে অস্বীকার করে।

এ ঘটনায় বিপাকে পরে পোষ্টম্যান মশিউর রহমান উপায়ন্ত্রর না পেয়ে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সহিত আলাপ আলোচনা শেষে আজ ২০ মার্চ পলাশবাড়ী থানায় পত্রটি উদ্ধারে সাধারণ ডাইরি করে পোষ্টম্যান মশিউর রহমান। পলাশবাড়ী থানার জিডি নং ৭৬৪।

(এসআইআর/এসপি/মার্চ ২১, ২০১৮)