রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মামুদনগর পোষ্টকামারী রাস্তার ফরিদ সিকদারের বাড়ির নিকট ২০ ফুট সেতুটি কোন উপকারে আসছে না জনসাধারণের। সেতুর দু পাশে মাটি না থাকায় শুকনো কিংবা বর্ষা মৌসুমে এই সেতুর কোন সুফল ভোগ করতে পারছে না এলাকার জনগণ। ফলে চার গ্রামের জনসাধারণের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে এ সেতুটি।

জানা যায়, উপজেলার মামুদনগর পোষ্টকামারী রাস্তার ফরিদ সিকদারের বাড়ির নিকট ২০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৭৬৯.২৮ টাকা ব্যয়ে নির্মান করে মেসার্স এমডি জিল্লুর রহমান নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেতুটি ২০১৬ সালের ২৫ জুন সম্পন্ন করে সংযোগ সড়ক না করেই সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার চুড়ান্ত বিলসহ জামানত তুলে নেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এতে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে পরে জনসাধারণ।

স্থানীয় জমির উদ্দিন ও সোলায়মান সিকদার বলেন, এ এলাকার সাধারন জনগনের উপজেলা শহরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। এছাড়া প্রতিদিন এ সড়ক ধরে শত শত ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন স্কুল কলেজে যাতয়াত করে। শুকনো মৌসুসে বিকল্প রাস্তায় চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তি হয় দ্বিগুন। এলাকাটি কৃষি নির্ভর হওয়ায় এখানে প্রচুর সবজি উৎপাদন হয়। ব্যবসায়ীদের সবজি মৌসুমে বাজারজাত করতে যেমন অসুবিধা হয় তেমনি কৃষি মালামাল বহনেও গুনতে হয় দ্বিগুন ভাড়া।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পোষ্টকামারী রাস্তার ফরিদ সিকদারের বাড়ির নিকট ২০ ফুট ব্রীজটি এলাকার জনগনের জন্য একটি বিষঁফোড়ার মত। যে ব্রীজটি এলাকার জনগণের কোন কাজেই আসে না। এ নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে ব্রীজের দুপাশের মাটি ভরাটের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান, এ প্রকল্পটি আমার পূর্ববর্তী কর্মকর্তার সময়ে হয়েছে। সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের বিষয়ে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব ব্রীজের দুপাশে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার আব্দুল খালেক জানান, সেতুটি নির্মানের পর দু পাশের সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হয়েছিল। বর্ষার পানিতে মাটি ধুয়ে গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পোস্টকামারী রাস্তার ফরিদ সিকদারের বাড়ির কাছে ২০ ফুট সেতুটি এলাকার জনগণের জন্য একটি বিষঁফোড়ার মত। যে সেতুটি এলাকার জনগণের কোনো কাজেই আসে না। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পেলে সেতুর দু’পাশের মাটি ভরাটের ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বেগম শাহীন জানান, প্রকল্পটি পূর্ববর্তী কর্মকর্তার সময়ে হয়েছে। সংযোগ সড়কে মাটি ভরাটের বিষয়ে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। যত দ্রুত সম্ভব সেতুর দু’পাশে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে।

(আরকেপি/এসপি/এপ্রিল ২৮, ২০১৮)