ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে কালবৈশাখির তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে এলাকার বিভিন্ন গাছপালা, বাড়ি-ঘরসহ আম ও লিচুর বাগান। সকালে আচমকা কালো মেঘে ঢাকা পড়ে দিনের আলো। প্রকৃতি রাতের আঁধারে রূপ নেয় । 

সকাল সাড়ে আটটার সময় নিকষ কালো অন্ধকার দেখে অনেকের বিভ্রম ঘটে। দেরীতে ঘুম থেকে উঠা লোকজন সকাল নাকি রাত বুঝতে না পারেননি। এদিকে কালবৈশাখীর সময় বজ্রপাতে নাজিম হোসেন (৩০) নামের এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছেন। তিনি হঠাৎ পাড়া এলাকার দিনমজুর। ঈশ্বরদীর পাকশীতে পদ্মা নদীর গাইড ব্যাংক এলাকার ‘হঠাৎ পাড়া’ এলাকায় ঝড়ে পড়া আম কুড়াতে গিয়ে ওই ব্যাক্তি বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। বজ্রপাতে তার মুখমন্ডল ঝলসে বিকৃত রূপ ধারণ করে।

এদিকে সাহাপুর এলাকার লিচু চাষী রিয়াজ উদ্দিন সরদার জানান, কালবৈশাখির তান্ডবে প্রচুর কাঁচা বাড়ি-ঘর ভেঙে পড়েছে, কোথাও কোথাও টিনের চালা উড়ে গিয়ে পড়েছে দূরে। লিচু আবাদের সাথে জড়িত

কৃষকরা জানান, চলতি মৌসুমে এমনিতেই লিচুর ফলন কম। লিচুর মুকুল আসার সময় হতে শুরু করে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া লিচু চাষের জন্য অনুকূলেই ছিল। কিন্তু বারংবার শিলা-বৃষ্টি ও কালবৈশাখি ঝড়ের কারনে দফায় দফায় বাগানের লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল সোমবারের ঝড়ে এই ক্ষতির মাত্রা আরো বেড়ে যাওয়ায় লিচুচাষীদের কপাল পুড়েছে।

চাষিরা আরো জানান, এখন লিচুর বাড়ন্ত সময়, এই সময়ে কালবৈশাখির তান্ডবে অনেক লিচু গাছের মোটা মোটা ডালপালা ভেঙ্গে পড়েছে। কোন কোন বাগানের গাছ থেকে ঝরে পড়েছে কাঁচা অপরিপক্ক কাঁচা লিচু।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হোসেন জানান, সোমবার ঈশ্বরদীতে ২৮ দশমিক ৪ মিমি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় প্রায় ৪০ কিলোমিটার। তিনি বলেন এবছর এটিই ছিল সবচেয়ে বড় মাত্রার ঝড়।

(এসকেকে/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০১৮)