চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বুধবার লতা পারভীন নামে (৩০) নামে এক গৃহবধূ রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।  

স্বামীর মারপিটের পর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে বলে।সে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের স্ত্রী ও একই ইউনিয়নের কুমিল্লি গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। তবে স্বজনদের অভিযোগ লতাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ ঘটনার পর ওই গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে।

জানা গেছে, গত চার বছর পূর্বে আফজাল হোসেনের সাথে বিয়ে হয় লতা পারভীনের। বিয়ের পর থেকেই নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এ নিয়ে প্রায়শই লতাকে মারপিট করতো তার স্বামী। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাংসারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় লতা ও আফজালের মধ্যে। এক পর্যায়ে লতাকে বেধড়ক মারপিট করে আফজাল। পরে সবার অগোচরে নিজ শোবার ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নেয় লতা পারভীন। পরে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরের আড়ার সাথে লতাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ লতার লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

তবে মৃত ওই গৃহবধূর খালাতো ভাই নিমাইচড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ছরিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘এটা আত্মহত্যা নয়। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমার বোনকে (লতা) হত্যা করে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।’

চাটমোহর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি ময়নাতদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

(এসএইচএম/এসপি/মে ০৯, ২০১৮)